প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ছিল নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয়ের দেখা পাওয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে আরও একটি চ্যালেঞ্জ যোগ হয়েছে। এবার টাইগারদের সামনে কিউইদের মাটিতের প্রথম ম্যাচ জয়ের সঙ্গে যোগ হয়েছে সিরিজে সমতায় ফেরার চ্যালেঞ্জ। শনিবার ক্রাইস্টচার্চে এই চ্যালেঞ্জের ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ভোর ৪টায়।
প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক বোলারদের মোকাবেলা করতে হিমসিম খেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বোলাররাও প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলতে পারেননি।
নেপিয়ার থেকে ক্রাইস্টচার্চের কন্ডিশন আরও বিরূপ। সেখানে কনকনে ঠাণ্ডার সঙ্গে আছে বাতাসও। ফলে প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করাটা বাংলাদেশের জন্য কঠিনই হতে পারে।
নেপিয়ারে ট্রেন্ট বোল্ট, লোকি ফার্গুসন ও ম্যাট হেনরির বোলিংয়ের সামনে খাবি খেয়েছেন তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহরা। আর ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৫তম সেঞ্চুরি পাওয়া মার্টিন গাপটিল। তার সঙ্গে ছিলেন হেনরি নিকোলস ও রস টেলর। সব মিলিয়ে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নে নিউজিল্যান্ড।
আগের ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেমন রানের জন্য হাসফাস করেছেন, তেমনি বোলাররাও। অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মোটামুটি ভালো বল করলেও সাকিব আল হাসানের ১০ ওভার মিস করেছে বাংলাদেশ। মাঠের কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে এই ম্যাচে তাই পেস আক্রমণে যুক্ত হতে পারে রুবেল হোসেন। তবে উইনিং কন্ডিশন ভাঙবে না কিউইরা।
এই ম্যাচে স্পটলাইটে থাকবেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। নিজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা দিয়ে বিপদে ফেলতে পারেন তামিমদের। বিশেষ করে ক্রাইস্টাচার্চের মতো পিচ ও কন্ডিশনে।
বাংলাদেশের দিকে চোখ থাকবে মোহাম্মদ মিঠুনের দিকে। নেপিয়ারে যিনি ৯০ বলে ৬২ রানের ইংনিস খেলে দলকে টেনেছেন।
আগের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরি করেছিলেন মাশরাফী। এই ম্যাচে আবার নতুন মাইলফলকের সামনে মুশফিক। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২০০তম ওয়ানডে খেলতে যাচ্ছেন উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যান। গত ডিসেম্বরেই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন মাশরাফী।
ক্রাইস্টচার্চে অবস্থা যাই হোক না কেন, আশার কথা শুনিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখনো বিশ্বাস করি যে, আমরা সিরিজ জিততে পারব। একটি ম্যাচ হেরে গিয়েছি। আমাদের আরও দুটি ম্যাচ আছে। এই দুটি ম্যাচ জিতলে সিরিজ জিততে পারব। সে কারণেই কালকের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। এটি জিতলে আমরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাব।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে প্রথম ১০ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টা যদি টিকেও যাই, রান অল্প হলেও সমস্যা না। প্রথম ম্যাচে আমরা প্রথম ১০ ওভারে তেমন কিছুই করতে পারিনি। আমাদের দ্রুত উইকেট পড়ে গিয়েছিল। এখন টপ অর্ডার যদি রান করে, প্রথম ১০ ওভার দেখে খেললে আমাদের সুযোগ থাকবে ভালো করার।’
প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জুটি গড়া নিউজিল্যান্ড ওপেনারদের একজন বলেছেন, এই ম্যাচেও নিজেদের মতো করে খেলবেন তারা।