চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের শেষভাগে মিলবে ফাইজারের ভ্যাকসিন

চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ সফলতা দেখানোয় এবং কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় ফাইজার ইনক এবং বায়োএনটেক ডিসেম্বর মাসে তাদের ভ্যাকসিনের যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে জরুরি অনুমোদন নেবে বলে জানিয়েছে।

বিভিন্ন বয়স এবং জাতিগোষ্ঠীর উপরে পরীক্ষা চালানোর সময়ে ভ্যাকসিনটির একই ধরনের কার্যকারিতা দেখা গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, এই ভাইরাসটি প্রবীণ এবং কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিদের বেশি আহত করেছে।

বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর শাহীন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিসেম্বরের মাঝ নাগাদ জরুরি অনুমোদন দিতে পারে।  ইউরোপীয় ইউনিয়নের শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন পেতে পেতে ডিসেম্বরের মাঝ পেরিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা ধারণা করতে পারি ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে অনুমোদন পাবো আর ক্রিসমাসের আগে আগে সরবরাহ শুরু হয়ে যাবে। তবে যদি সত্যি সবকিছু ঠিকঠাকমতো চলে।

মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার এবং জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক দ্বারা তৈরি ভ্যাকসিনের সাফল্যের হার আগে অনুমোদন পেতে যে পরিমাণ সফলতার দরকার বলা ছিলো তার থেকে অনেক বেশি।  বিশেষজ্ঞদের মতে, মহামারীটি শেষ করার প্রতিযোগিতায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।

করোনা আক্রান্ত ১৭০ জন স্বেচ্ছাসেবী ফাইজারের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ৪৩ হাজারের বেশি মানুষকে সম্পৃক্ত করেছে।  তাদের মধ্যে ১৬২ জন ভ্যাকসিন নয় প্লেসবো পেয়েছিলেন। ভ্যাকসিনটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর ছিল। গুরুতর করোনাআক্রান্ত ১০ জনের একজন ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অনুমোদনের আবেদন করবে বায়োএনটেক।