চট্টগ্রাম থেকে: জিম্বাবুয়ে এখন আর কঠিন প্রতিপক্ষ নয়। ঘরের মাঠে খেলা হলে তাদের হারানো সহজ-পাঠ। সবশেষ ১১ দেখায় টানা জয় পাওয়া বাংলাদেশের সামনে তাই সুযোগ এসেছে বিশ্বকাপের আগে দলের সবাইকে বাজিয়ে দেখার। সুযোগ লুফে নিতে চান টাইগার অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও। ওয়ানডে সিরিজে খেলাতে চান স্কোয়াডে থাকা সব ক্রিকেটারকেই।
দলের অপরিহার্য দুই ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান না থাকলেও খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই টাইগার দলে। চোট সেরে গেলে ফর্ম ফিরে পেতে তাদের সময় লাগার কথা নয়। দুই তারকার না থাকাই সিরিজের প্রথম ম্যাচে সুযোগ করে দিয়েছে ইমরুল কায়েসকে ওপেনিংয়ে ফেরানোর, পেস-অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে দলে আনার, ফজলে রাব্বির অভিষেক ঘটানোর।
মাশরাফী চান পরের দুটি ম্যাচে আরও কিছু জায়গা পরখ করতে, ‘আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। রাব্বি আরেকটি সুযোগ ডিজার্ভ করে। যদি রাব্বির জায়গায় থাকতাম তাহলে প্রত্যাশা করতাম যে আমি সামনের ম্যাচে খেলবো। বাদ বাকিটা তো নির্বাচক, টিম ম্যানেজম্যান্টের ব্যাপার। আমি রাব্বি হিসেবে বলছি: আমিও আশা করি যে, আরেকটা সুযোগ ডিজার্ভ করি।’
‘পাশাপাশি আমাদের আরও কিছু জায়গা আছে। যেমন শান্ত বসে আছে। ওর ক্রিকেট খেলাটাও জরুরী। আরিফুল এশিয়া কাপ থেকে ধারাবাহিকভাবে টিমের সাথে রয়েছে। সুযোগ পায়নি। পুরোদমে অনুশীলন করে যাচ্ছে। ও কিন্তু একটা সুযোগ ডিজার্ভ করে। কারণ ও জানে যে পরে আরও কঠিন টুর্নামেন্ট আসলে ওকে কিভাবে দেখবে।’ সবার সুযোগ নিয়ে এভাবেই বললেন মাশরাফী।
‘আবু হায়দার প্রথম ম্যাচে(এশিয়া কাপে) ভালো করেছে। ও কিন্তু সাইডবেঞ্চে আছে। এটা ভালো। আমাদের আরেকটু ক্লিনিক্যাল হতে হবে। ম্যাচ না হেরে কীভাবে একজন-দুজন করে সুযোগ দিতে পারি। যেহেতু দলের সাথে আছে, ওই পরিবেশটা কিন্তু আছে। তারা যেন এসেই খুব দ্রুত পারফর্ম করতে পারে, যেন তিন-চার ম্যাচ না নেয় পারফর্ম করতে। সেই মানসিক প্রস্তুতি এবং শারীরিক প্রস্তুতিও নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’ যোগ করেন অধিনায়ক।