সরকার ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় মূল সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন পোশাকশ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী মালিকপক্ষ তা দিচ্ছে না।
আমরা দেখলাম, গত তিনদিন ধরে রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, আবদুল্লাহপুর, আজমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় কারখানা শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার সকালেও মিরপুরের কালশীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ছুঁড়ে পুলিশ।
এসব ঘটনার কারণে অসংখ্য সাধারণ মানুষকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। যানজটে আটকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। শুধু তাই নয়, অনেকস্থানে হামলার মুখেও পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। সব মিলিয়ে একটা বিশৃঙ্খল অবস্থানে চলে গেছে শ্রমিকরা।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, আগামী একমাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করা হবে। মঙ্গলবার তৈরি পোশাক কারখানা মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দুই পক্ষের ৫ জন করে সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করে আগামী এক মাসের মধ্যে সব কিছুর সমাধান করা হবে।
তবে তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, আন্দোলনের নামে যারা ধ্বংসাত্মক কাজ করছেন, তারা এই খাতের বন্ধু নয়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরই মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেছেন, বাইরের ইন্ধনে শ্রমিকরা রাস্তায় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ নতুন সরকার ক্ষমতায় আসতে না, আসতেই এমন নৈরাজ্যের পেছনে ষড়যন্ত্র আছে বলে তাদের ধারণা।
যাইহোক না কেন, এই খাতে বিশৃঙ্খলায় শুধু মালিক বা শ্রমিকদেরই ক্ষতি নয়, তা দেশের সার্বিক ক্ষতি। তাই সবপক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। তাতে সবার জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে বলে আমরা মনেকরি।