৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১। দিনটি ছিলো সোমবার। যশোর ময়মনসিংহ ও সুনামগঞ্জ রণাঙ্গনে পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদেও তুমুল যুদ্ধ হয়।
পিছু হটে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে ধরাশায়ী পাকিস্তানী বাহিনী। তিনটি এলাকায় চলে আসে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে।
মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে যাওয়ার পথে উসলামপুরে পাকিস্তানী বাহিনীর এ্যামবুশের শিকার হয়।
আটকে পড়া দলটিকে উদ্ধারে এগিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের আরেকটি দল। আক্রমণ চালায় পাকিস্তানী বাহিনীর ওপর। পরাজিত হয় পাকিস্তানী সৈন্যরা।
মুক্তিযোদ্ধারা আটক করে ১১ পাকিস্তানী সৈন্যকে। ওই যুদ্ধে শহীদ হন দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
ছাতকে পাকিস্তানী বাহিনীর ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল। তুমুল লড়াই হয় দু’পক্ষের মধ্যে। এ দিনই ফেনী শহর ঘিরে ফেলে মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড চাপের মুখে পাকিস্তানী সৈন্যরা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রবেশ করে ফেনী শহরে।
৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন ভারতের স্বীকৃতি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী লোকসভায় দেয়া বক্তৃতায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দেন।
এর আগে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভুটান। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
তবে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে থাকে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে কাঙ্ক্ষিত বিজয়ের দিকে।