সন্দ্বীপ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ১২ ইউনিয়নে মোট প্রার্থী ২৬ জন, তার মধ্যে ৮টি ইউনিয়ন এর মধ্যে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয় হয়েছে। বাকি ৭ টিতে নৌকায় মনোনীত প্রার্থী বিজয় হয়েছে।
আমান উল্লাহ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সন্তোষপুর ইউনিয়নে মোহাম্মদ জাফর, হরিশপুর ইউনিয়নে মোহাম্মদ কাসেম মাস্টার, রহমতপুর ইউনিয়নে মোহাম্মদ ফরিদুল মাওলা কিশুর, মাইটভাংগা ইউনিয়নে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। আজিমপুরে মোহাম্মদ রকি, মুছাপুরে মোহাম্মদ আবুল খায়ের নাদিম বিজয়ী হয়েছেন।
দুপুরে সন্দ্বীপ উপজেলার আমানউল্লাহ ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সকালে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় রহমতপুর ইউনিয়নেও। তবে বড় কোনো সংঘর্ষ ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোট দিতে আসেন ভোটাররা। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন ১২ টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে খুশি তারা।
প্রার্থীদের মাঝেও ছিল উৎসবের আমেজ। সকালে থেকেই ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময়সহ ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেন তারা। প্রায় সবাই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে চলে ভ্রাম্যমান আদালত। পুলিশ আনসার ভিডিপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮০০ শতাধিক সদস্য।
নির্বাচনে প্রায় ৪৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানায় প্রশাসন। ভোট গ্রহনের পর গণনা ও ফলাফল ঘোষণা পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্ততি রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।