বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ
থেকে অর্থ চুরির ঘটনা তদন্তে সোমবার ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করবে সরকার।
ব্যাংক ও আর্থিক
প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম জানিয়েছেন, খোয়া যাওয়া ১০ কোটি ডলারের মধ্যে ৬৮ হাজার
ডলার ফেরত এসেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জরুরি বোর্ড সভা ডাকার কথাও বলেন তিনি।
বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে গিয়ে বৈঠক করেছে এলিট ফোর্স র্যাব।
১লা মার্চ বাংলাদেশ
ব্যাংকে অডিট কমিটির বৈঠকে ছিলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম
আলম। সেদিনও রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির বিষয়টি জানানো হয়নি তাকে। সে পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীকেও
কিছু জানানো হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। রিজার্ভ থেকে চুরির বিষয়টি জানতে গভর্নরের
অনুপস্থিতিতে ডেপুটি গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের
সদস্য ডক্টর এম আসলাম আলম।
তিনি বলেন, ‘ফিলিপাইনের যে মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ আছে তারা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলো ফ্রিজ করেছে। সেখান থেকে ৬৮ হাজার ডলার ফেরত পাওয়া গেছে। বাকি টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এটা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানানো হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকে ২৩ ফেব্রুয়ারি আমরা বোর্ড মিটিংও করেছি, সেখানেও এই বিষয়টি উঠেনি। অডিট কমিটির দুটি মিটিংয়েও আসেনি।’
‘কেন, সেই প্রশ্ন করলে তারা বলেছে, তারা তদন্ত করে পুরো চিত্র নেওয়ার চেষ্টা করেছে বলেই অভিহিত করেনি। আমি মনে করি আমাদের সাথে সাথেই জানানো প্রয়োজন ছিলো। এটা দীর্ঘ সময় লাগবে, কারণ টাকাটা এর মধ্যেই ব্যাংকিং সিস্টেমে নেই। সেটা বের হয়ে গেছে।’
অর্থমন্ত্রী কিংবা ব্যাংকিং
বিভাগের সচিব দূরে থাকুক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরদের কেউ কেউ নাকি জানতেন
না রিজার্ভ থেকে চুরির বিষয়টি। এটা নিয়ে কেন লুকোচুরি সদুত্তর মিলছে না কারো কাছ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা রাজী
হাসান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হয়েছে নাকি বাইরে থেকে হয়েছে সেটা তদন্ত শেষেই জানা যাবে। সেটা হতেই আরো অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।
রিজার্ভ থেকে চুরির
ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখা
হচ্ছে। বিষয়টি জানতে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শক রাকেশ আস্তানার
সঙ্গে বৈঠক করেছেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান। সর্বশেষ অবস্থা
জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।