ইবাদত হোসেন সামর্থ্যের পুরোটা দিয়ে চেষ্টা করেছিলেন মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গ দিতে। দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হয়ে ফিরতে হল তাকে। ডাবল সেঞ্চুরি পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ হল না মুশফিকের।
১৭৫ রানে অপরাজিত থেকে ফিরলেন মুশফিক। ৩৫৫ বলের ম্যারাথন ইনিংসে ২১টি চারের মার। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে থামতে হল মি. ডিপেন্ডেবলকে।
২০ বল মোকাবেলা করেও রানের খাতা খুলতে পারেননি ইবাদত। তার মূল লক্ষ্য ছিল টিকে থাকা, মুশফিককে আরও বড় ইনিংস খেলতে সহায়তা করা।
৯ উইকেটে ৩৬১ রান নিয়ে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতির পর যোগ হয় আর ৪ রান। ১১৬.২ ওভার ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে তোলা সম্ভব হয় ৩৬৫ রান।
আগেরদিন ৫ উইকেটে ২৭৭ রান ছিল বাংলাদেশের। ১৩৫ রানে অপরাজিত থাকা লিটন আর ৬ রান যোগ করে আউট হন। দিনের সকালে জোড়ায় জোড়ায় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
লিটনের আউটের পর দ্বিতীয় বল মোকাবেলা করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন তিন বছর পর টেস্টে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
তাইজুল ইসলামকে নিয়ে পরে লড়ে যান মুশফিক। অষ্টম উইকেট জুটিতে যোগ হয় মূল্যবান ৪৯ রান। ৩৭ বলে ১৫ রান করা তাইজুল ফেরার এক বল পরই আউট হন খালেদ আহমেদ।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ২২ গজে দারুণ সফল শ্রীলঙ্কার পেসাররা। কাসুন রাজিথা পাঁচটি ও আসিথা ফার্নান্দো নিয়েছেন চার উইকেট।