বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ‘উন্নয়ন’ নিয়ে আমরা যেমন গর্ববোধ করছি, তেমনি বিষয়টি বিশ্বদরবারে নজর কাড়ছে। বিভিন্ন সূত্রমতে, সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত হবে, পাশাপাশি আগামী ২০২৭ সাল নাগাদ বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম উঠে আসবে। ‘উন্নয়ন’ যেহেতু একটা জটিল রাজনৈতিক ধারণা, সেহেতু উন্নয়ন প্রচেষ্টার সাথে উন্নয়ন আকাঙ্খার দ্বিমত হতে পারে! কিন্তু, উন্নয়ন বলতেই আমাদের ভাবনায় সবার আগে অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়ার দিকটা আসে। আমরা যখন উন্নয়ন ব্যতীত অন্য কিছু নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নই, তখন সংস্কৃতির প্রসঙ্গ টেনে আনাটা উপাদেয় মনে নাও হতে পারে!
কিন্তু, কেবলমাত্র অর্থনীতির ডানায় ভর করে আমাদের উন্নয়নের উড়ান কতদূর যাবে ? এরকম একটা প্রশ্ন তোলার যৌক্তিকতা হিসেবে ডেভিড সি রোজ এর ‘হোয়াই কালচার ম্যাটার্স মোস্ট’ বই থেকে একটা উদহারণ টানি। ধরুন আগামী ৭ বছর পর, ২০২৭ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে একটা বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে, পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চলছে, রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল চলছে। এমন সময় আপনাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি পরিবার নিয়ে কোথায় থাকতে চান? ঢাকা, টরেন্টো, সিডনি, মুম্বাই, সিঙ্গাপুর, দুবাই, লন্ডন, নিউইয়র্ক? আপনার উত্তরটি কী হবে, তা আমার জানা নাই, তবে যে বৈশিষ্ট্য এই শহরগুলোকে আলাদা করবে তা হলো সংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য। আপনি প্রথমেই ভাববেন কোন শহর আপনার জন্য সংস্কৃতিকভাবে নিরাপদ, তারপর আসবে অর্থনৈতিক দিকটা।
স্বাধীনতার ৫০ বছরের দ্বারপ্রান্তে এসে আমরা যদি পেছন ফিরে তাকাই, তাহলে দেখবো বাংলাদেশ এই পুরোটা সময় জুড়ে ঈগল পাখির মত একমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করেছে এবং নিঃসন্দেহে বেশ কিছু অর্জনও আছে। কিন্তু, অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বেশি গুরুত্ব দিতে যেয়ে আমাদের সমাজে অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমাদের এটা ভাবার কারণ নেই যে উন্নয়ন অগ্রসরের সাথে সাথে সমাজ থেকে সে সব নেতিবাচক প্রভাব দূরে সরে যাবে, বরং সমাজকে আরো বেশি জটিলতর করে তোলার সম্ভাবনাও রয়েছে।
সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার জায়গা হচ্ছে, আমরা একটা সামাজিক -নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণী সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছি। চোখের নিমেষেই হারিয়ে গেছে আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজের প্রচলিত আদর্শ, ধ্যান-ধারণা, ও পরিমিত জীবনবোধ। আমরা যে মধ্যবিত্ত সমাজ দেখে বড় হয়েছি, সেটি কেবল মাত্র অর্থনৈতিক শ্রেণী বিভাজন নয়! ‘মধ্যবিত্ত’— শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে জীবনবোধ, শিক্ষা–শিল্প–সংস্কৃতি ইত্যাদি। সেসব নিয়ে এখন খুব একটা কথা হয় না, বর্তমানে সমাজে অর্থনৈতিক অর্জনকে বড় করে দেখা হয়।
দেশে দেশে সংস্কৃতিক বৈচিত্র যেমন থাকবে, তেমনি উন্নত জাতি গঠনে সংস্কৃতিক চর্চার বিকল্প নাই। কেবলমাত্র সংস্কৃতির চর্চা মানুষের মধ্যে স্বাধীনতা ও পরমত সহিষ্ণুতার বোধের জন্ম দেয়। সমাজকে মানবিক করে তোলে, পারস্পরিক মেলবন্ধন সৃষ্টি করে, বিশ্বাস ও আস্থার সংকট দূর করে। তাই, সংস্কৃতিক চর্চাকে আমাদের উপেক্ষার সুযোগ নাই।
সংস্কৃতির গুরুত্বের কথা সর্বজন বিদিত । কিন্তু, বেশীরভাগ উন্নয়নশীল সমাজ ব্যবস্থা যথাযথভাবে সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়, যার মুলে রয়েছে সংস্কৃতিক জ্ঞান ও চর্চার সীমাবদ্ধতা। সংস্কৃতিক মূল্যবোধ যে অর্থনৈতিক বিকাশের উপর প্রভাব বিস্তার করতে তার উদহারণ টানতে গিয়ে অনেক গবেষক ইউরোপের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে সংস্কৃতিক বিপ্লবকে টেনে এনেছেন এবং দেখিয়েছেন আফ্রিকার অধিকাংশ দেশে সংস্কৃতিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত হওয়ায় তাদের অর্থনৈতিক বিকাশ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত। মূলতঃ রাজনৈতিক সংস্কৃতি সামাজিক মূল্যবোধ ও অর্থনৈতিক আচরণ দিকনির্দেশ করে। সাংস্কৃতিক ভাবে অগ্রসর সমাজ একটি ভালো নেতৃত্ব উপহার দিতে পারে। ১৯৪৫ সালের আগে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া একই সংস্কৃতির অংশ হলেও বর্তমানে সেই একই জাতি গোষ্ঠী সংস্কৃতিক -সামাজিক-রাজনৈতিক পার্থক্যের কারণে ভাবে কতটা আলাদা, এবং তাদের অর্থনীতির চিত্রটাও ভিন্ন।
অর্থ-চিন্তা আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। ফলস্বরূপ প্রতিনিয়ত নীতি ও মূল্যবোধে ছাড় দিতে হচ্ছে, দুর্নীতির সাথে আপোষ করতে হচ্ছে। পেশাগত দক্ষতা অর্জনের চাইতে গোষ্ঠীগত স্বার্থ চিন্তা বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। যেমন ধরুন, স্বাস্থ্য খাতে যথেষ্ট বিনিয়োগ বেড়েছে, কিন্তু সেবার মনোভাব সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো বেশি মুনাফা করতে চায় বলেই তারা সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। ডায়াগনস্টিক সেন্টার বেশি ব্যবসা চায় বলেই তারা ডাক্তারদের প্রভাবিত করে। সরকারি হাসপাতালের সমস্যা সমাধান -আমরা খুঁজি প্রাইভেট হাসপাতালে! প্রাইভেট হাসপাতালে বেশি টাকা খরচ করলেই ভালো চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে, এই ধারণা আপনার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে তাদের বিনিয়োগ কম নয়। আপনার সন্তান নরমাল ডেলিভারি হবে, না কি সিজারিয়ান সেকশন হবে? তা মায়ের স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় না, বরং পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে নেয়া হচ্ছে। এসবের মূল কারণ আমাদের সমাজে স্বাস্থ্যসেবা সংস্কৃতির অনুপস্থিতি।
শিক্ষা খাতের অবস্থা আরো বেশি নাজুক, শিক্ষাকে আমরা পণ্যে পরিণত করেছি। যে শিক্ষক ক্লাস অপেক্ষায় কোচিং এ বেশী মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি যেমন মধ্যবিত্তকে প্রতিনিধিত্ব করেন। যে অভিভাবক সন্তানকে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন কিনে দিচ্ছেন তিনিও মধ্যবিত্ত সমাজের অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভবণ নির্মাণে যতবেশি মনোযোগী, গবেষণায় ততটা নয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে যত উন্নয়ন ফিরিস্তি দেয়া আছে সেখানে একটিও গবেষণা প্রকাশের কথা লেখা নাই! প্রগতিশীল জীবন ভাবনা ছাড়াই আমাদের শিশুরা বেড়ে উঠছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মূল্যবোধহীন বিভক্ত সমাজের জন্ম দিচ্ছে। যার মূলে রয়েছে অর্থনৈতিক চাপ।
উৎপাদন প্রক্রিয়ার তুলনায় বিপণন পক্রিয়া বেশী লাভজনক হওয়ায়, মানুষ কৃষিতে আগ্রহহীন হয়ে পড়ছে, কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি না হওয়ায় প্রতিনিয়িত সিন্ডিকেট সৃষ্টি হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য অযোক্তিক হরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার মধ্যে অর্থনৈতিক অশুভ আকাঙ্খা প্রকাশ পাচ্ছে।
আমাদের খাবারের সংস্কৃতি দেখুন, আমরা এমন একটা সংস্কৃতি জন্ম দিতে পারি নাই, যেখানে পরিবেশক ভেজালহীন খাদ্য পরিবেশন করবে। একজন ব্যবসায়ী কেবল মাত্র বেশি লাভের আশায় খাবারে ভেজাল মেশাচ্ছেন।
আমাদের পোশাকে, ফ্যাশনে মধ্যপ্রচ্যের পোশাকের প্রভাব বেড়েছে। এর বড় কারণ হচ্ছে বিগত তিন দশক ধরে আমরা প্রচুর শ্রমিক মধ্যেপ্রাচ্যে পাঠিয়েছি, তারা রেমিট্যান্সের পাশাপাশি কিছু পোশাকী সংস্কৃতি বয়ে এনেছে। আমরা চাইলেও এই প্রভাব দূর করতে পারবো না।
আমরা নগরের আয়তন বাড়িয়েছি, কিন্তু নগর সংস্কৃতির দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করছি না। যে কারণে আমাদের নগর ক্রমে সৌন্দর্যহীন ও বসবাস অনুপযোগী হয়ে উঠছে। যার মুলে আমাদের অর্থনৈতিক অভিলাষ কাজ করছে। খোদ রাজধানীতে সরকারি আবাসন প্রকল্প রয়েছে, হাজার খানেক বেসরকারি আবাসন প্রকল্প রয়েছে, পুলিশের, সেনাবাহিনীর, শিক্ষকদের আলাদা আলাদা আবাসন প্রকল্প রয়েছে, কিন্তু যেটা নাই সেটা হচ্ছে আধুনিক নগর সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। আমরা ভবন নির্মাণে আধুনিকতার উপর বেশি জোর দিচ্ছি, আর ভবনে বসবাসকারী মানুষদের আধুনিক করার কথা ভাবছি না !
আমরা মেট্রোরেল এর প্রথম ধাপের কাজ গুছিয়ে এনেছি, কিন্তু ঢাকাকে রিক্সামুক্ত করার কথা মুখেও তুলছি না। ঢাকা শহরের ১০ লাখের অধিক রিকশা চালকদের জন্য বিকল্প পেশার উদ্যোগ নিচ্ছি না, যা সামাজিক অন্তৰ্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমাদের মূল্যবোধের দৈন্যতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, আমরা গর্বের সাথে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করি। আপনি অন্তত একবার ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখুন, সড়কে আমরা কতটা অমার্জিত, বিশৃঙ্খল ও অনিয়ন্ত্রিত।
অর্থনৈতিক আগ্রাসন সমাজকে সাংঘর্ষিক করে তুলছে। মুক্ত চিন্তা- মুক্তবুদ্ধির চর্চা থেকে আমাদের দূরে ঠেলে দিচ্ছে। সংস্কৃতিক চর্চাহীনতার প্রভাব আমাদের প্রচার মাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সর্বত্র, আমরা ঘৃণা- বিদ্বেষ ছড়াচ্ছি, অবলীলায় কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করছি। সুতারং শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন আমাদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য দিতে পারবে না।
আশার কথা দেশের উন্নয়ন গবেষকরা সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে জোর দিচ্ছেন। সেই সাথে আয় বৈষম্য, সুশাসন, জলবায়ু পরিবর্তনরোধ এবং টেকসই উন্নয়ন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীরা সজাগ আছেন। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা এমডিজির লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে ৷ জাতিসংঘের ভাষাতেই বাংলাদেশকে বলা হয় এমডিজির ‘রোল মডেল’ ৷ কিন্তু, ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)’ বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশকে সামাজিক সংস্কৃতিক বিকাশে বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে। বিশেষতঃ এসডিজি ৫- লিঙ্গ সমতা; এবং এসডিজি ১৬ -শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক সমাজ, সকলের জন্য ন্যায়বিচার,সকল স্তরে কার্যকর, জবাবদিহি ও অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা’ – সংস্কৃতিক উন্নয়ন ছাড়া সম্ভব নয়।
সমকালীন বিশ্ব ব্যবস্থায়- বিশ্বায়নের সংস্কৃতি মোকাবেলা করাটাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বায়নের সংস্কৃতি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিচিত্র ক্ষুদ্র সংস্কৃতিকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে, মানুষ ক্রমশ আত্মপরিচয় সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তার উপর রয়েছে বিশ্বব্যাপী উগ্র জঙ্গিবাদ, প্রতিনিধিত্ব মুলুক সন্ত্রাসবাদ, আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ, ও প্রযুক্তির আগ্রাসন। প্রশ্ন উঠতেই পারে আমাদের প্রস্তুতি কতটা আছে? মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত জাতি গঠনের জন্য আমাদের সংস্কৃতিক উন্নয়নের দিকে আরো বেশি মনযোগ দিতে হবে, যেখানে প্রাধান্য পাবে সুষম উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায্যতা-সুশাসন, মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা, মানবাধিকার, নারী মুক্তি, চিন্তা ও মননের স্বাধীনতা।
জনসংখ্যার দিক থেকে আমরা বিশ্বে অষ্টম বৃহত্তম দেশ, আমাদের অর্থনীতি দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে, অথচ আমাদের রাজধানী বসবাসের দিক থেকে দিন দিন অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। বিশ্বের কয়টি দেশে আমাদের নাটক চলচিত্র প্রদর্শিত হয়? কয়টি ভাষায় আমাদের বই অনূদিত হয়? আমরা বছরে কয়টি বিশ্বমানের গবেষণা প্রকাশ করি? এসব প্রশ্ন আজ নয়তো কাল আমাদের নিজেদের করতে হবে।
অর্থনতিক উন্নয়ন তখনি স্থায়ী রূপ নিবে, যখন সেটা আমাদের সংস্কৃতির ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হবে। কেবলমাত্র সাংস্কৃতিক উত্তরণের মধ্যে দিয়ে আমরা বিশ্বসভায় মাথা তুলে দাঁড়াতে পারি। মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের সংস্কৃতিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণেরক অঙ্গীকার আমরা করতেই পারি।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)