চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সংবিধান অনুযায়ী আ’লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: এনামুল হক শামীম

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেখ হসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই সংবিধান মোতাবেক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একে এম এনামুল হক শামীম।
সোমবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত মুক্তিসংগ্রাম সাংস্কৃতিক উৎসবের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন: ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত আওয়ামী সরকারের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের বাইরে গিয়ে অনির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া হবে না। নিয়মানুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন।’

এ সময় খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন: ‘আওয়ামী লীগ সরকার বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তার করে নাই। এতিমদের অর্থ আত্মসাতের কারণে কোর্ট তাকে সাজা দিয়েছেন। দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে আর কখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় না।’

বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন: স্বাধীনতার স্বপ্ন অনেকেই দেখেছিলেন। কিন্তু দেশের মানুষের স্বাধীনতার স্বপ্নকে পুরোপুরিভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পূর্ব পাকিস্তানী বাঙালীদের মুখের ও মনের ভাষা বুঝতেন, তারা কী চায়। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফায় মূলত দাবি ছিলো এক দফার। কার্যত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি ছাড়া ছয় দফা আর কিছুই হতে পারে না। ছয় দফা ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সাঁকো। বঙ্গবন্ধুর এই সাঁকো দিয়েই স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

জাকসুর সাবেক এই ভিপি উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে বলেন: ‘ছাত্রলীগ হচ্ছে আদর্শের সংগঠন। শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী এ সংগঠনের ১৯ হাজার নেতাকর্মী মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন। এই ইতিহাস পৃথিবীর আর কোন ছাত্র সংগঠনের নেই। সেই ঐতিহ্যকে আপনাদের ধরে রাখতে হবে। ইতিহাসের গর্বিত অংশীদার হচ্ছে ছাত্রলীগ। দেশের যেখানেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতো সেখানেই ছাত্রলীগ বিজয়ী হতো, কারন ছাত্রলীগ ছিলো ছাত্র সমাজের প্রিয় সংগঠন। ছাত্রলীগ হচ্ছে সোনার মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান।’

উপস্থিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন: ‘নদী রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে আপনারা ছাত্রদের ব্যবহার করবেন না। ছাত্ররা আপনাদের সন্তানতুল্য; ছাত্ররা আপনাদের শ্রদ্ধা করবে, আপনারাও ছাত্রদের স্নেহের দৃষ্টিতে দেখবেন। ইভ টিজিং ও র‌্যাগিংয়ের নামে মানসিক অত্যাচার আপনাদের চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন: ‘বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর সেই সোনার বাংলার অপর নামই হচ্ছে উন্নত বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন তার যোগ্যতম কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করে চলছেন। আমরা গত ১৭ মার্চ সুসংবাদ পেয়েছি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছে। আজ বাংলাদেশ আত্মমর্যাদাশীল একটি রাষ্ট্র।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে সাংস্কৃতিক উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আরো বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধাক্ষ্য অধ্যাপক ড. শেখ মনজুরুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি, সাধারন সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল, বর্তমান সভাপতি মো. জুয়েল রানা ও সাধারন সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল প্রমুখ।

সাংস্কৃতিক উৎসবের দ্বিতীয় দিনে সন্ধ্যায় সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে অভিনয় শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম, আবৃত্তিকার শামীম মহিউদ্দিন, নৃত্য শিল্পী লায়লা হাসান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল শামীমকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। সম্মাননা প্রদান শেষে আবৃত্তি এবং জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।