ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদকে জামিন দেননি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার আবুল আসাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুরের আদেশ দেন।
ভিডিও কনাফারেন্সে যুক্ত হয়ে আবুল আসাদের জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। এসময় তার সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় ভিডিও কনাফারেন্সে রাষ্ট্রপক্ষে আরো যুক্ত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও মুরাদ রেজা এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ ও সারোয়ার হোসেন বাপ্পি।
আজকের আদেশের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আদালত আবুল আসাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের করেছেন। তাই আজকের এই আদেশের ফলে কারাগারে থাকা আবুল আসাদের মুক্তি মিলছে না।’
অন্যদিকে সংগ্রাম সম্পাদকের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘এর আগে নিম্ন আদালতে জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় গত ১১ মে ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আবুল আসাদের জামিন আবেদন করা হয়। আজ সে আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট জামিন না মঞ্জুর করেছেন। তবে বিষয়টি হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আসবে বলে আদালত বলেছেন।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে সংগ্রাম পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এমন প্রেক্ষাপটে গত ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর মগবাজারে দৈনিক সংগ্রাম কার্যালয় ভাঙচুর হয় এবং পরে পুলিশ গিয়ে সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদকে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে হাতিরঝিল থানার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় মামলা করেন। সে মামলায় সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ ছাড়াও পত্রিকাটির প্রধান প্রতিবেদক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী এবং বার্তা সম্পাদক সাদাত হোসেনসহ অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়। এরপর মামলার ধারাবাহিতায় রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আবুল আসাদকে কারাগারে পাঠান আদালত।