ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মো. দুরুল হুদার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে অভিযোগের নিষ্পত্তি না পাওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুলসহ এই আদেশ দেন। আদালত তার রুলে অভিযোগ ওঠা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রাজশাহীর পুলিশ সুপার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য , উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের প্রশাসক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অভিযোগ ওঠা শিক্ষক মো. দুরুল হুদাকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ‘শ্লিলতাহানির শিকার মেয়েটি স্কুলে যেতে পারছে না, অভিযুক্ত শিক্ষক জামিনে’ শিরোনামে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এরপর সে খবরটি যুক্ত করে বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জোবাইদা গুলশান আরা। আজ সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দিল।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মাসুম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।