করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে গেছে বিসিবির হাই-পারফরম্যান্স (এইচপি) প্রোগ্রাম। মে-জুনের নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করা যায়নি জুলাইয়ের শেষভাগেও। আশার ব্যাপার হল, এইচপি ক্যাম্প শুরুর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলাপ-আলোচনা করেছেন নীতি-নির্ধারকরা।
বুধবার বিসিবি কার্যালয়ে এইচপি প্রধান নাইমুর রহমান দুর্জয় সভা করেছেন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে। পরে জানান, আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল এইচপি প্রোগ্রাম শুরু, নতুন কোচ নিয়োগ ও সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফর।
‘আপনারা জানেন কোনকিছুই আগের মতো নেই। চাইলেই এইচপি ক্যাম্প শুরু করার ব্যাপারটা আমাদের হাতে নেই, তারপরও প্রোগ্রাম কীভাবে শুরু করা যায় ভাবছি। একাডেমির ওখানে যদি ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু করি, সেখানে খেলোয়াড়দের থাকার ব্যবস্থা, তাদের ক্যাটারিং, স্বাস্থ্যবিধি, এসব ব্যাপার বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই করে চিন্তা করতে হচ্ছে। কীভাবে করা যায় সেটি নিশ্চিতে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। আবার বসবো সব প্রস্তাবনা নিয়ে।’
২৬ জনের এইচপি দল গড়েছেন নির্বাচকরা। দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনও ছিলেন বুধবারের সভায়। আগে মিরপুরে ক্যাম্প হবে নাকি আগেভাগেই শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সেখানেই এইচপি দল প্রস্তুতি নেবে, দুই ধরনের ভাবনাই আছে বিসিবির।
নাইমুর বললেন, ‘শ্রীলঙ্কায় যদি আমরা যাই সেখানে ম্যাচ খেলব, ট্রেনিং করব। তার আগেও তো একটা প্রস্তুতি দরকার, কোথাও যাওয়ার আগে। সেটা এখান থেকেই শুরু করতে হবে। এটার সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ারও ব্যাপার আছে। সেটাও মাথায় আছে। শ্রীলঙ্কা গিয়ে ক্যাম্প সেটাও হতে পারে, এখানেও হতে পারে, শ্রীলঙ্কাতেও হতে পারে। দুই জায়গাতেই হতে পারে। এসব মাথায় আছে। আলোচনা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করব, তারা কীভাবে আয়োজন করতে পারে সেটি জানব।’
গত তিন মৌসুম এইচপির হেড কোচ হিসেবে কাজ করা সায়মন হেলমটের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন সেটি নিয়েও আলোচনা চলমান আছে বলে জানালেন নাইমুর, ‘যারা যারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের সংক্ষিপ্ত তালিকা আমরা করেছি। তাদের সাথে আবার যোগাযোগ করতে হবে। কারণ অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিল করোনা মহামারীর আগে। তাদের মন-মানসিকতা এখন কেমন, তাদের মনোভাব পরিবর্তিত হয়েছে কিনা, সেটা নতুন করে জানতে হবে।’