শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে’র অনুষ্ঠানে একাধিক গির্জা ও হোটেলে ভয়াবহ হামলার ঘটনার পর দেশটির পর্যটন শিল্পে বিপর্যয় ঘটেছে।
এমনকি শ্রীলঙ্কার হোটেল, বীচ, খাবারের দোকানগুলোতে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা এখন প্রায় শূন্যের কোটায়।
হামলার আগে শ্রীলঙ্কা ২০১৯ সালের পর্যটকদের আগমনের দিক দিয়ে র্শীষ কয়েকটি দেশের মধ্যে ছিলো। ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনার পর দেশটির বিলাস বহুল হোটেলগুলো থেকে বিদেশি পর্যটকরা পালাতে শুরু করেন।
আবার যাদের আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে আসার কথা ছিল, আগে থেকেই যাদের হোটেলগুলোতে বুকিং ছিলো তারা তা বাতিল করে দিয়েছে। ফলে উপকূলের নিকটবর্তী হোটেলগুলোর ৮৫-৯০ শতাংশ খালি পড়ে থাকছে। উপকূলের রেস্টুরেন্ট ও মার্কেটগুলো প্রায় খালি থাকছে। ফলে এসব ব্যবসার ওপর যারা নির্ভরশীল ছিলেন তারা প্রায় অর্থাভাবে দিন যাপন করছেন।
২১ এপ্রিলের ওই ভয়াবহ হামলা শুধু প্রাণই কেড়ে নেয়নি, কেড়ে নিয়েছে হাজার হাজার মানুষের জীবিকাও। কিছু পর্যটকের দেখা মিলছে দেশটির দক্ষিণের হিককডুওয়া সৈকতে।
হিককডুওয়া বীচ হোটেলের এক্সিকিউটিভ সানজাওয়ানি বলেন, এই বীচে মাত্র কয়েকটি হোটেল খোলা আছে। আজকে আমাদের প্রায় ৫০টি রুম ফাঁকা রয়েছে। এটা একটা বিপর্যয়, ওই হামলার পর থেকে আমাদের প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন রুপি লোকসান হয়েছে। ফলে হোটেল কোম্পানি হোটেলের অর্ধেক কর্মচারিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে।
তবে ইউক্রেনিয়ান এক ক্রীড়া প্রশিক্ষক এই বীচে ঘুরতে এসে অ্যালেক্সি কোচাইয়েনো এক নোটে লিখেন, বোমা হামলা যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায় হতে পারে, এটা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই। শ্রীলঙ্কা খুব সুন্দর জায়গা, এটা আমার প্রথম আসা। আমি আমার বন্ধুদের ঘুরতে আসার আহ্বান জানাই।
২১ এপ্রিল সকালে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের অনুষ্ঠানে ৩টি গির্জা ও ৩টি পাঁচ তারকা হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহত হয় ২৫৩ জন। এ ঘটনায় আহত হন ৫শ’রও বেশি। যাদের মধ্যে ৪০ জন বিদেশিও ছিলেন।