নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার শোক ভুলতে না ভুলতেই আবারও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা। এবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে আত্মঘাতী সিরিজ বোমা হামলা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, সেখানে ইস্টার সানডের অনুষ্ঠানে ৩টি গির্জা ও ৩টি হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক ছাড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪শ’রও বেশি।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, কলম্বোর সেইন্ট অ্যানথনি’স উপাসনালয়ে রোববার সকালে প্রার্থনার অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে অর্ধশতাধিক মানুষকে কলম্বোর প্রধান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আমরা বরাবরের মতো বলতে চাই, যার বা যাদের মধ্যে ন্যূনতম মনুষ্যত্ববোধ আছে তারা কখনোই এভাবে মানুষ খুন করতে পারে না। আর ধর্মীয় প্রার্থনার স্থান যেখানে সবার অনুভূতির জায়গা, সেখানে তো কোনোভাবেই এমন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা কল্পনাও করা যায় না। অথচ এমন পবিত্র স্থানে আমরা পরপর দু’টো দুঃখজনক ঘটনা ঘটতে দেখলাম।
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগতে পারে, পুরো পৃথিবীতে মনুষ্যত্বহীনতা দিন দিন কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকছে? কেন মানুষে মানুষে এত ভেদাভেদ এবং হানাহানি? আর কেনইবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠির টার্গেটে পরিণত হচ্ছে নিরপরাধ সাধারণ মানুষ? আমরা মনে করি, নতুন করে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার সময় এসেছে।
একইসঙ্গে আমরা আশা করি, কোনো পক্ষ এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও শ্রীলঙ্কার সরকার খুব দ্রুত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনায় ইতোমধ্যেই নিন্দা জানিয়েছে। আমরা মনে করি, এই সমস্যা শুধু শ্রীলঙ্কারই নয়। বরং এমন সন্ত্রাসবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আগেই এর বিরুদ্ধে এই অঞ্চলের সব দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। শ্রীলঙ্কার এই দুর্দিনে বাংলাদেশসহ অন্য প্রতিবেশিরাও পাশে দাঁড়াবে বলে আমাদের আশাবাদ।
কলম্বোর এই আত্মঘাতী সিরিজ বোমা হামলায় নিহত এবং আহতদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।