মারভান আতাপাত্তুর নতুন করে ব্যাট হাতে নেমে পড়ার সুযোগ সেই। এক সময়কার শ্রীলঙ্কান ব্যাটিং ভরসা ব্যাট-প্যাড তুলে রেখেছেন অনেক আগেই। তবে আরেক আতাপাত্তুকে পেয়ে গেছে লঙ্কানরা। তিনি দেশটির নারী ক্রিকেট দলের চামারি আতাপাত্তু। যার অপরাজিত ১৭৮ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংসে বৃহস্পতিবার মেয়েদের বিশ্বকাপে আড়াইশ পেরোনো সংগ্রহ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ব্রিস্টলে অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। যার ১৭৮-ই এসেছে আতাপাত্তুর ব্যাটে। ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহটি সেখানে সিরিবর্ধনের ২৪ রান।
২৭ বছর বয়সী বাঁহাতি আতাপাত্তু ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৪৩ বলে। যাতে ২২টি চারের সঙ্গে আছে ৬টি ছয়ের মার। প্রথম ফিফটিতে পৌঁছাতে ৬১ বল খেলেছেন, যাতে ছিল ৮টি চার। আর ১০৬ বলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে শতক। মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটেই যেটি তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসের রেকর্ড।
মেয়েদের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ওয়ানডে ইনিংসটি অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি বেলিন্ডা ক্লার্কের। ১৯৯৭ বিশ্বকাপে মুম্বাইয়ে ডেনমার্কের বিপক্ষে ইনিংসটি খেলেছিলেন তিনি। ভারতীয় দীপ্তি শর্মার ১৮৮ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। চলতি বছরের শুরুর দিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসটি খেলেছিলেন দীপ্তি।
ইনিংসের চতুর্থ বলেই ক্রিজে এসেছিলেন। ওয়ানডাউনে নেমে খেলা সেই ইনিংসটি দিয়েই ৩৫ বছরের একটি রেকর্ডও ভেঙেছেন আতাপাত্তু। মেয়েদের ক্রিকেটের এক ইনিংসে ব্যক্তিগত রানের শতাংশে এখন সবার ওপরে তার অপরাজিত সেঞ্চুরিটি। অর্থাৎ এক ইনিংসে একজনের অবদান ও বাকিদের অবদানের এই অনুপাত এর আগে দেখেনি নারী ওয়ানডে ক্রিকেট।
লঙ্কানদের সংগ্রহের ৬৯.২৬ শতাংশ রান এসে আতাপাত্তুর ব্যাটে। আগের রেকর্ডটি ছিল ইংল্যান্ডের লিনি থমাসের, ৬১.৯৪ শতাংশ। ১৯৮২ সালের সেই ম্যাচে ৭০ বলে ১১৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইংলিশ তারকা।