চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শ্রীলঙ্কার অদম্য রূপটাও দেখল ভারত

ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ ‘বি’র সমীকরণ আরো জটিল করে তুলল শ্রীলঙ্কা। বৃহস্পতিবার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৩২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ে নোঙর ফেলেছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের দল।

শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান ও সাউথ আফ্রিকার এই গ্রুপে সব দলের ঝুলিতেই এখন একটি করে ম্যাচ হাতে রেখে দুটি করে পয়েন্ট। সেমির লড়াই তাই বেশ ভালোকরেই জমে উঠেছে।

ওভালে শুরুতে ব্যাট করে ধাওয়ানের সেঞ্চুরির সঙ্গে রোহিত ও ‘বুড়ো’ ধোনির ফিফটিতে ৬ উইকেটে ৩২১ রানের বড় সংগ্রহই গড়ে ভারত। জবাবে নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ফেরাতেই পাল্টে যাওয়া শ্রীলঙ্কা বিরাট কোহলির দলকে অনেকটা মাটিতেই নামিয়ে আনল।

নিরোশান ডিকেভেল্লা (৭) দ্রুত ফিরলে শুরুটা ভালো হয়নি লঙ্কানদের। এরপর ধানুশকা গুনাথিলাকা ও কুশল মেন্ডিস ২৩.১ ওভারে ১৫৯ রানের প্রতিরোধ গড়ে সব হিসেব পাল্টে দেন।

গুনাথিলাকা ৭ চার ও ২ ছয়ে ৭২ বলে ৭৬-এ রান আউটে কাটা পড়েছেন। মেন্ডিসও একইভাবে সাজঘরে ফিরেছেন। যাওয়ার আগে ১১ চার ও এক ছয়ে ৯৩ বলে ৮৯ রানে দলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে যান।

সেখান থেকে ভারতকে ভুগিয়েছেন কুশল পেরেরা (আহত অবসর ৪৭), ম্যাথুজ অপরাজিত ৫২ ও অ্যাসেলা গুনারত্নে অপরাজিত ৩৪ রানে। ম্যাথুজ ও গুনারত্নে অবিচ্ছিন্ন ৫১ রানে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।

কেবল ভুবনেশ্বর কুমার একটি উইকেট পেয়েছেন। এমনকি বিরাট কোহলিকে পর্যন্ত বল হাতে নিতে হয়েছে। ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।

এর আগে কোহলি-যুবরাজরা রান পাননি। তবে ধাওয়ানের শতকের সঙ্গে রোহিত-ধোনির ফিফটিতে তিনশ পেরিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই উদ্বোধনী শেখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মা। দুজন ১৩৮ রানের দারুণ সূচনা এনে দেন। পাশাপাশি নিজেদের রেকর্ডকে এগিয়ে নিয়েছেন আরেকধাপ উচ্চতায়।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেকোন জুটির দুটির বেশি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ নেই, অথচ ধাওয়ান-রোহিত জুটির এখন চারটি শতরানের পার্টনারশিপ।

রোহিত ৭৮ রানে ফিরে গেলে ভাঙে সেই রেকর্ড জুটি। ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৭৯ রানে ইনিংসটি সাজিয়েছেন ভারতীয় উদ্বোধনী। রোহিত মালিঙ্গার বলে পেরেরার হাতে ধরা পড়ার এক রান পরেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। কিছুক্ষণ পর ৭ রানে সাজঘরে পাকিস্তান ম্যাচের সেরা যুবরাজ সিং।

সেখান থেকে ধাওয়ানকে নিয়ে ইনিংস মেরামতে হাত দেন ধোনি। দুজনে ৮২ রান যোগ করেন। ধাওয়ান ফিরেছেন ১২৫ রানে। ১৫ চার ও এক ছয়ে ১২৮ বলের ইনিংস এই বাঁহাতির। আর ধোনির ব্যাটে এসেছে ৬৩ রান। ৭ চার ও ২ ছয়ে ৫২ বলে ইনিংসটি সাজিয়েছেন বুড়ো ঘোড়া!

শেষদিকে কেদার যাদবের ১৩ বলে অপরাজিত ২৫ রানে বড় সংগ্রহ পায় ভারত।