ছোট পরিসরের শ্রমজীবী মায়েদের কর্মক্ষেত্রে মাতৃকালীন ছুটি ও সেবার সুযোগ দেবার তাগিদে মালেয়শিয়ার পুত্রজায়ায় শুরু হয়েছে ১১তম ওয়ান এশিয়া ব্রেস্টফিডিং পার্টনারস ফোরামের আন্তজার্তিক সম্মেলন। বাংলাদেশে মায়েদের মাতৃকালীন ৬ মাস ছুটি ও মা-শিশুর সেবার কার্যক্রম ব্যাপক প্রসংশিত হয় ঐ সম্মেলনে।
কর্মক্ষেত্রে নারীদের মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা এই থিমের উপর আলোচনার জন্য ব্রেস্টফিডিং ইনফরমেশন ব্যুরো মালয়েশিয়া, মালয়েশিয়ার মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আন্তজার্তিক এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে এশিয়ার প্রায় ৩০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারি পরিচালক প্রমা নূরজাহান মুস্তফা, বিবিএফ-এর চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ডা. এস কে রয়সহ বক্তারা কর্মক্ষেত্রে নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি দিয়ে শিশুদের সুরক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে বিক্ষিপ্তভাবে ও বিচ্ছিন্নভাবে যে সব মায়েরা কাজ করেন তাদেরও সুরক্ষায় কাজ করা ও তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান আলোচকরা।
সম্মেলনে বাংলাদেশের মায়েদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও মায়ের দুধের বিকল্প কৃত্রিম শিশু খাদ্য বিপনন আইন-২০১৩ অন্যতম সাফল্য হিসেবে প্রসংসা পায়।
আন্তজার্তিক শিশু খাদ্য কর্মসূচি নেটওয়ার্কের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার আনোয়ার ফজল জানান, আজকের সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের বক্তারা তাদের দেশের নারীরা যেন মাতৃত্বকালীন ছুটি পান ও সন্তানদের ভালোভাবে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন, মায়েরা স্বাস্থ্য সুবিধা, ব্রেস্টফিডিং এর জন্য ২ বছরের জন্য ব্রেক পান, সরকারি-বেসরকারি উভয় পক্ষকেই সেসব ব্যবস্থা করার আহ্ববান জানান।
তিনি আরো বলেন, আজকের আলোচনায় দেখা গেছে বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে খুবই দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করেছে। সবাই সরকারের বলিষ্ঠ ভূমিকার অনেক প্রশংসা করেছে।
শিশু সেবার জন্য বিশ্বেও ৩৭টি দেশে এখনো মায়ের মাতৃত্বকালীন ছুটি, বিকল্প শিশু খাদ্য আইন না হওয়া শিশুদের সুরক্ষায় অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বক্তারা।
আর শ্রমজীবী মায়েদের ছুটি নিশ্চিয়তা, প্রয়োজনে অর্থ দিয়ে সেবা সুরক্ষা দেওয়া, কাজের স্থানে শিশুকে রাখতে ডে-কেয়ার চালুর জন্য প্রায় ত্রিশটি দেশের সরকার প্রধানের প্রতি আহ্বান জানানো হয় ঐ সম্মেলনে।