একটি সুন্দর সাজানো বাড়ি আগুনে পুড়ে অঙ্গার। সেখানে এখন শুধুই কয়লার আবরণ। অভিযোগ উঠেছে, শত্রুতার জেরে মেয়ের জামাই শ্বশুরের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫ নং সদর ইউনিয়নের মধ্য অলিপুরে এ ঘটনা ঘটে।
বাড়ির মালিক ইলিয়াস মুন্সি। তার অভিযোগ, মেয়ের জামাই হাসমত উল্লাহ রানা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে তাদের তিল তিল করে গড়ে তোলা বসতঘর এবং আসবাবপত্র। আগুনে শেষ হয়ে গেছে ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র, জায়গা জমির দলিল ও ফ্রিজসহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামাল।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মধ্য অলিপুর গ্রামের ইলিয়াছ মুন্সি (৭০) পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। মঙ্গলবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের সময় কেউ বাড়িতে ছিলেন না। সে কারণে বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ ছিলো। ঘর ছিলো তালাবদ্ধ। ইলিয়াছ মুন্সির ভাই প্রথম আগুন দেখতে পান।
হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারলেও ততক্ষণে ঘরে থাকা সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ইলিয়াস মুন্সির ছেলে মিশকাত শরীফ চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, তার বোনের স্বামী একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে হাসমত উল্লাহ রানাই এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, রানা নেশাগ্রস্ত। সে ইয়াবায় আসক্ত। র্দীঘদিন ধরে আমার বোনকে নির্যাতন করে আসছে রানা। এ কারণে আমার বোন আমাদের সাথে থাকে। কিন্তু হাসমত উল্লাহ রানা প্রায়ই আমার বোন ও আমাদের পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছিলো।
অগ্নিকাণ্ডের আগের দিনও রানা তার স্ত্রীকে হুমকি দেন বলে জানান মিশকাত।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার বোনের স্বামী বখে যাওয়া রানা তার বোনকে অনবরত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেয় বোন। প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলে হাসমত উল্লাহ আমার বোনের কিছু ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন সময় হুমকি দেয় আরও বড় ক্ষতি করবে বলে। আমার বোন প্রতিবাদ করলেই শারিরীক নির্যাতন আরও বেড়ে যেতো। সব মিলিয়ে এ ঘটনার জন্য হাসমত উল্লাহ রানাকে দায়ী করেন তারা।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় ইলিয়াস মুন্সির পরিবার থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।