শেয়ারবাজারে আর ১৯৯৬ এবং ২০১০ সালের পুনরাবৃত্তি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান।
বুধবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসইর কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন: শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা, বিএসইসির সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে। এ কারণে ডিসেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে সুবাতাস বইছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: আমাদের আইটি বিভাগে অনেক দুর্বলতা আছে। এরপরও ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের ঘটনা আর পুনরাবৃত্তি হবে না। এখন সার্ভিলেন্স অনেক শক্তিশালী।
শেয়ারবাজারের ইতিহাসে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে বড় ধরনের ধস নেমেছিল। এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হারান।
ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন: আমরা ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইর দায়িত্ব গ্রহণ করি। এরপর নানা সমস্যা ছিল। করোনার কারণে ৬৬ দিন লেনদেন বন্ধ রাখা হয়। সর্বোপরি বিএসইসির ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে ডিসেম্বরের পর থেকে পুঁজিবাজারে ভাল অবস্থানে রয়েছে।
শিগগিরই ডিএসই ভবন একটি অর্থনৈতিক হাবে পরিণত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উধ্বর্মুখি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কোনো ঝুঁকি আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসই পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বিনিয়োগকারীদের সচেতন হতে হবে।
ডিএসই আরেক পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন: ২০১০ সালে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোন নিয়ে পুঁজিবাজারে না আসতে বলা হয়েছিল। কিন্ত তখন তা মানা হয়নি। তবে সে সময়ের তুলনায় এখন পুঁজিবাজার অনেক শক্তিশালী।
ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন: লেনদেনযোগ্য শেয়ার সবচেয়ে বেশি ব্যাংকের। প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ার বিনিয়োগকারীদের হাতে। এক সময় ব্যাংকগুলো বেশি বেশি বোনাস দিয়ে পরিচালকরা টাকা নিয়ে যেত। এখন তারা ১০ টাকার শেয়ার কেনেন না। তাই এ খাতে সুশাসন খুবই জরুরি।
ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক শাহজাহান, মুনতাকিম আশরাফ, নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।