প্রথম দল প্রথমে ব্যাট করে রান তোলে ২৪০। চলতি ডিপিএলে এই সংগ্রহ একরকম লো-স্কোরই! সেই সংগ্রহেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জমল। সেটিও আবার যেনতেন নয়, শেষ ওভারে দরকার ১২ রান, আর শেষ বলে ৫। ব্যাটসম্যান মারলেন ছক্কা। এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে শেষঅবধি জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দুই উইকেটে জেতা ম্যাচে শেখ জামালের নায়ক মোহাম্মদ এনামুল হক।
২৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হাসানুজ্জামানকে (৫) হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শক্ত ভীত গড়ে দেন ইমতিয়াজ হোসেন ও তানভীর হায়দার। ৩৯ রান করে তানভীর আউট হলেও হাফসেঞ্চুরি তোলেন ইমতিয়াজ। ১০২ বলে ১০ চারে তিনি করেন ৭৪ রান।
ইমতিয়াজ-তানভীর ফেরার পর ছোট ছোট ইনিংস খেলে জয়ের পথেই ছিল দল। কিন্তু নাসির হোসেন ২৫, অ্যাসেলা গুণারত্নে ২০ ও অধিনায়ক নুরুল হাসান ৩২ রান করে আউট হতেই শঙ্কায় পড়ে শেখ জামাল।
জিয়াউর রহমান ৬ এবং তাইজুল ইসলাম ৩ রানে ফিরে গেলে চূড়ান্ত বিপদে পড়ে দলটি। কিন্তু একপাশ ধরে রেখে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান এনামুল।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রান। প্রথম তিন বলে আসে চার রান। সঙ্গে একটি উইকেটও যায়। পরের দুই বলে তিন রান। আর শেষ বলে প্রয়োজন পড়ে ৫ রান। সেই বলে ছক্কা মেরে খেলা শেষ করে দেন এনামুল। ১৭ দুই চার ও এক ছক্কায় ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
মোহামেডানের হয়ে সোহাগ গাজী তিনটি ও চতুরাঙ্গা ডি সিলভা দুটি উইকেট নেন।
মোহামেডানের হয়ে এই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেন আব্দুল মাজিদ। তবে খুবই ধীরগতির ব্যাটিং করেছেন তিনি। ৫২ রান করতে খেলেন ৯০ বল। মাজিদ রান পেলেও শূন্যরানে আউট হন ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এবং ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান তুষার ইমরান। এদিন ভালো করতে পারেননি অধিনায়ক রকিবুল হাসানও (১৪)।
মাজিদ বাদে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ব্যর্থ হলেও মিডলঅর্ডারে রান পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। ৭৪ বলে পাঁচ চারে ৪৪ রান করেন আশরাফুল। তবে এক রানের আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন সিলভা। ৩৯ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৪৯ রান করে শ্রীলঙ্কান এ ব্যাটসম্যান।
শেষদিকে সোহাগ গাজী ২৪ বলে ৩২ রান ছাড়া বাকিদের কেউ উল্লেখ করার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি।
শেখ জামালের হয়ে সালাউদ্দিন সাকিল তিনটি ও লঙ্কান বোলার আসেলা গুণারত্নে দুটি উইকেট নেন।