ছোট পর্দার মানুষের জন্য উত্তরার আনন্দ বাড়ি শুটিং হাউজ অন্যতম পরিচিত একটি জায়গা। নাটক, টেলিফিল্মের শুটিং মানেই আনন্দ বাড়ি। এখানে বহুবার শুটিং করেছেন অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ। অসংখ্যবার সহকর্মী অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাথে আড্ডা দিয়েছেন। আজকে সকালেও তিনি আনন্দ বাড়িতেই ছিলেন। তাকে ঘিরে ছিলো ছোট পর্দার পুরনো, নতুন অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী। কিন্তু সবার চোখ জলে টলমল। কারণ অন্য আর আট দশ দিনের মতো প্রাণবন্ত তাজিন আহমেদ এদিন ছিলেন চির নিদ্রায়!
দীর্ঘদিনের সহকর্মী অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ। হঠাৎ করেই নাই হয়ে গেলেন। তার শোক যেনো সইতে পারছেন না ছোট পর্দার তারকা সহকর্মীরা। শেষ বারের মতো তার দর্শন ও শ্রদ্ধা জানাতে আনা হয়েছিলো উত্তরার আনন্দ বাড়িতে। সকাল সাড়ে দশটার দিকে তাকে সেখানে নেয়া হয়। শেষবারের মতো তাকে দেখতে সেখানে ভিড় করে ছোট ও বড় পর্দার মানুষেরা।
প্রায় ঘন্টা খানেক সেখানে রাখা হয় তাজিন আহমেদের মৃতদেহ। এরপর শেষবারের মতো প্রিয় আনন্দ বাড়ি শুটিং হাউজ থেকে সোজা নিয়ে আসা হয় গুলশানের আজাদ মসজিদ প্রাঙ্গণে। যোহরের নামাজের জন্য অপেক্ষা। এখানেও দেখা মেলে ছোট পর্দার সহকর্মীদের। ছোট পর্দার এই তারকার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, বন্ধু আর শুভানুধ্যায়ীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
আজাদ মসজিদে তাজিন আহমেদের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বনানী গোরস্থানে। সেখানে বাবার কবরেই তাকে দাফন করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উত্তরার বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তাজিন আহমেদ। এরপর তাকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। সেখানে কয়েক ঘণ্টা লাইফ সাপোর্টে রাখার পর তাজিন আহমেদ বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।