১০০ মিটারে হেরেছেন। ১০০ মিটার রিলেতে কি হবে? ক্যারিয়ারের শেষ রেসে কি সোনা জিতে শেষ করতে পারবেন উসাইন বোল্ট? এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরছে লন্ডন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে।
১০০ মিটারের মতোই ১০০ মিটার রিলেতেও জামাইকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী থাকছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে মার্কিনি দুই স্প্রিন্টারের কাছে হেরেছেন বোল্ট। অপ্রত্যাশিত ১০০ মিটারে সোনা আর রুপা জেতেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই স্প্রিন্টার জাস্টিন গ্যাটলিন আর ক্রিশ্চিয়ান কোলম্যান। তাই জামাইকান তারকার ফর্মের সঙ্গে আরও একটা চিন্তাও বড় হয়ে উঠেছে রিলে রেসে। সেটা হল, জামাইকান রিলে দলের অভিজ্ঞতার অভাব। তা ছাড়া বোল্টও তো পুরোপুরি ফিট নন।
শনিবার ১০০ মিটার রিলে রেসের লড়াই। তার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বোল্ট বলেন, ‘শারীরিক ভাবে আমি সুস্থই আছি। একটু ব্যথা অবশ্য রয়েছে। সেটা এমন কিছু নয়। মালিশ করলেই ব্যথাটা সেরে যেতে পারে।’
কথা বলেছেন রিলে রেসের প্রস্তুতি নিয়েও। বলেন, ‘দলের সদস্যদের সঙ্গে ব্যাটন হাতবদল করার প্র্যাকটিস এখনও করিনি। তবে আমার মনে হচ্ছে রেসের জন্য আমরা প্রস্তুত। জুলিয়ান ফোর্টের (১০০ মিটারের সেমিফাইনালিস্ট) সঙ্গে আমার এ ব্যাপারে কিছুটা কথা হয়েছে। অন্য তরুণ সদস্যদের কথা হয়নি। তবে আমি রিলে রেসে দৌড়নোর ব্যাপারে সমসময়ই আগ্রহী। দেখা যাক দলের সদস্যরা কতটা প্রস্তুত।’
বোল্টের সতীর্থদের মধ্যে এক মাত্র ইয়োহান ব্লেক ছাড়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ বা অলিম্পিক্সের মতো বড় মঞ্চে পদক জেতার অভিজ্ঞতা জামাইকার রিলে রেসের দলে আর কারও নেই। যেটা জামাইকার জেতার ক্ষেত্রে বিরাট বড় একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
তবে ট্র্যাকে নামার আগেই তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বোল্ট। জাস্টিন গ্যাটলিনকে নিয়ে জামাইকান বিদ্যুৎ বলেন, ‘গ্যাটলিনকে আমি সম্মান দেখাতে চাই। এত বছর ধরে আমরা লড়াই করে আসছি। শেষ পর্যন্ত ও একটা সোনা জিততে পেরেছে। হোক না সেটা আমার ক্যারিয়ারের শেষে। কিন্তু যার সম্মান প্রাপ্য, তাকে তো সেটা দিতেই হবে।’
কিন্তু জামাইকান মহাতারকা যতই বিপক্ষের প্রশংসা করুন না কেন, অনেকে অবশ্য বলছেন গ্যাটলিনের প্রশংসা করে আসলে মার্কিন শিবিরকে রেসে নামার আগেই পাল্টা চাপে রাখার কৌশলও সেরে রাখলেন বোল্ট।