চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শেষটা রাঙিয়েই বিদায় রোবেন-রিবেরির

টানা সপ্তম লিগ শিরোপা বায়ার্নের

জার্মান বুন্দেসলিগায় শেষদিনের রোমাঞ্চ। শিরোপা জিতবে কোন দল, শেষ চারে থাকবে কারা কারা- সবই নির্ধারণের দিন। সবচেয়ে আলোচনায় ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। টানা সপ্তম লিগ শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছিল তারা। শেষ ম্যাচে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে কেবল ড্র করলেই চলত। তবে ড্র নয়, প্রতিপক্ষকে উড়িয়েই শিরোপা জিতেছে বাভারিয়ানরা। ফ্রাঙ্কফুর্টকে রোবেন-রিবেরির দল হারিয়েছে ৫-১ গোলে।

এই ম্যাচে বায়ার্নের শিরোপার মতো আলোচনায় ছিলেন দুই কিংবদন্তিতুল্য তারকা আরিয়েন রোবেন ও ফ্রাঙ্ক রিবেরি। কারণ, তাদের দুজনের জন্য শেষ রাঙানোর মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। দিনশেষে শেষটা রাঙিয়েই বিদায় নিয়েছেন দুজন।

বুন্দেসলিগায় রেকর্ড ২৮ বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। এবার সেটা হল ২৯। গত ৬ মৌসুমে একক আধিপত্য দেখিয়ে শিরোপা জিতেছে তারা। এবার তাদের আধিপত্য ছিল না। মৌসুমের বেশ লম্বা সময় ধরে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল ডর্টমুন্ড। কিন্তু গত মাসে ডার ক্লাসিকে ডর্টমুন্ডকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শীর্ষে ওঠে বায়ার্ন।

লিগ শিরোপাটা তারা গত ম্যাচেই নিশ্চিত করে ফেলতে পারত। আরবি লেইপজিকের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করায় তা হয়নি। ওই দিন ফরচুনা ডুসেলডর্ফকে ৩-২ গোলে হারিয়ে আশা জিইয়ে রাখে ডর্টমুন্ড। শেষ পর্যন্ত কাজটা করতে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের সাবেক দল।

এদিন উৎসবের অপেক্ষায় ছিল অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনা। বায়ার্ন মিউনিখ ঘরের মাঠে বিরতি পর্যন্ত এগিয়ে থাকে এক গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করে অবশ্য কিছুটা চাপেও পড়েছিল। কিন্তু ডেভিড আলাবা আর রেনাতো সানচেজ দুই গোল করার পর শিরোপাটা তখনই নিশ্চিত।

বিদায়ী মঞ্চে দুইজনই নামেন বদলি হয়ে, বায়ার্নের হয়ে বুন্দেসলিগা নিজেদের শেষ ম্যাচে দুজনে করেন গোলও। সবমিলিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ৫-১ গোলের জয়ে টানা ৭বারের মতো বুন্দেসলিগা জেতে বায়ার্ন। রিবেরি বায়ার্নের হয়ে জিতলেন ৯ নম্বর বুন্দেসলিগা, আর রোবেনের লিগ শিরোপা একটি কম। ২০১২-১৩ মৌসুমে দুইজন মিলে বায়ার্নের ট্রেবল জয়ে রেখেছিলেন বড় অবদান।

দুজনের মধ্যে প্রথমে বদলি হয়ে নেমেছিলেন রিবেরি। এর কিছুক্ষণ পর রোবেন। গোল করার ক্ষেত্রেও সেই ধারাটা মেনে চলেন দুইজন। ঠিক যেন বায়ার্নে যোগ দেয়ার মতো। ২০০৭ সালে এসেছিলেন রিবেরি, এর দুই বছর পর রোবেন।

৭২ মিনিটে রোবেনের করা গোলটি হলো তার মতোই। ডানদিক দিয়ে ঢুকে ডি-বক্সের ভেতর আরও দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক গোল। সঙ্গে সঙ্গে জার্সি খুলে ফেলেন রিবেরি। ফরাসি তারকা পেছন পেছন ছোটেন রোবেনও। কিছুক্ষণ পর তিনিও করেন গোল।

রোবেন-রিবেরির সঙ্গে বায়ার্ন থেকে বিদায় নিচ্ছেন রাফিনহাও। তিনি বায়ার্নে এসেছিলেন ২০১১ সালে। এই তিনজন বায়ার্নকে বিদায় বললেও ফুটবল ছাড়ছেন না। তাদের নতুন ঠিকানা কোথায়, সেটা অবশ্য এখনো জানা যায়নি।