ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। শেরপুরে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার রামেরকুড়া এলাকায় মহারশী নদীর বেড়িবাঁধে প্রায় ২০ ফুট জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়। ঝিনাইগাতী উপজেলার ৫ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘর, পুকুর এবং কয়েক হাজার একর রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রামে সবক’টি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে ধরলার তীরবর্তী এলাকার বসত বাড়িতে। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে দুই হাজার একশ’ হেক্টর জমির আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল।
পানি বাড়ার সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের অন্তত ২৫ স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। জিও ব্যাগ ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।