আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করা হয়, সেভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
‘বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড’ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সেমিনারে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকা হচ্ছে। যারা সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না, তারাই ষড়যন্ত্রের চোরাগলির মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছে।
দেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে বাঁচিয়ে রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের পাশে থাকার আহবান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন না পেয়ে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বিএনপি, তারা দেশ- বিদেশের নানান স্থানে মিটিং, লবিস্ট নিয়োগ এবং অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
‘খুনি ঘাতকদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসে কার কী ভূমিকা তা সবই জানা আছে।
তৃতীয় বিশ্বের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর উত্থান অনেকেরই পছন্দ হয়নি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলের জাল পরিয়ে বাসন্তীকে দিয়ে নাটক সাজানো হয়েছিলো, কারণ বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু সরকারের সুনাম নষ্ট করাই ছিলো তাদের মূল লক্ষ্য, যা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।
‘জিয়াউর রহমানের জানাযায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিত প্রমাণ করে কফিনে জিয়ার লাশ ছিলো’, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যে কী প্রমাণিত হয় প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষ একজন প্রেসিডেন্টের জানাযা পড়েছে, কিন্তু কফিনে যে লাশ ছিলো তা তো দেখাতে পারেননি।
তিনি বলেন: পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের জানাযায়ও হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিলো, কিন্তু কফিনে তো তার লাশ ছিলো না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মোঃ আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর রহমতুল্লাহ, অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।
সেমিনারে আলোচকরা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়ার যে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো, সেখান থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশকে বিশ্বদরবারে গৌরবের আসনে নিয়ে গেছেন।