নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি নৌকা ডুবে পাঁচ ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার দক্ষিণ রূপসী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, ওই এলাকার আজিজুল খানের ছেলে ব্যবসায়ী লতিফ খান, পূর্ব ধোলাইপাড় এলাকার রবিউল আউয়ালের ছেলে দর্জি ব্যাবসায়ী শরীফ আহমেদ, ধোলাইপাড় এলাকায় নাসিরউদ্দিনের ছেলে জুতার ব্যবসায়ী তুষার আহমেদ, ধোলাইপাড় এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মোঃ বাবু মিয়া ও রূপগঞ্জ থানাধীন তারাব পৌরসভার মাসাবো এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাস্টমস কর্মকর্তা জাসিম।
খবর পেয়ে রাতেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে রাত গভীর রাতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।
শনিবার সকাল নয়টা থেকে আবারও উদ্ধার অভযান শুরু হয়ে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া এক যাত্রীর বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুর রহমান জানান, রাত ৮টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর ডেমরা ঘাট থেকে ১৪ যুবক একটি নৌকা ভাড়া করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভ্রমণ করছিলেন। রাত ৯টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর তারাব পৌরসভার দক্ষিণ রূপসী এলাকায় একটি বালুবাহী বাল্কহেড নৌকাটিকে ধাক্কা দিলে যাত্রীবাহী নৌকাটি নদীতে তলিয়ে যায়।
এ সময় নৌকায় থাকা মাঝিসহ ১৫ জনের মধ্যে ১০ জন সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন দক্ষিণ দনিয়া ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে। রাত গভীর হওয়ায় উদ্ধার তৎপারতা বন্ধ রাখা হয়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, নৌকা ডুবির ঘটনায় সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। তকে কাউকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি।