বগুড়ার শিয়া মসজিদে গুলি করে মুয়াজ্জিনকে হত্যা ও ঈমামসহ তিন জনকে আহত করার ঘটনায় জুয়েল নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীরা। শিয়াবিদ্বেষী কোন জঙ্গী গোষ্ঠী ওই পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে শিবগঞ্জ থানায় শুক্রবার একটি মামলা করেছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ সোনা মিঞা।
বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলা শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদর শিবগঞ্জে এলোপাতারি গুলি চালিয়ে মুয়াজ্জিনকে হত্যা ও তিন জনকে আহত করে বন্দুকধারীরা। সকালে নতুন করে সেই শিয়া মসজিদ ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন তদন্তকারী পুলিশ ও গোয়েন্দারা। কথা বলেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গেও।
সশস্ত্র যুবকদের সরাসরি গুলি করতে দেখেছেন এমন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। হামলাকারীদের শারীরিক গঠন ও পোশাক সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারনা নিয়ে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারে চিরুনী অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ইসলামিয়া জন কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও ওই মসজিদ পরিচালনা করে আসছে।
সশস্ত্র যুবকদের এলোপাতারি গুলিতে আহত শিয়া মসজিদের ইমামসহ অন্য আহতদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ সোনা মিঞার মাথার উপর দিয়ে দুই রাউন্ড গুলি দেয়ালে লাগে বলে পুলিশকে জানান তিনি।
মামলার বাদীও হয়েছেন সোনা মিঞা। তবে দায়ের করা ওই হত্যা মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে আসামী করা হয়নি। কতিপয় অজ্ঞাত ব্যাক্তি ওই হামলা চালায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা না গেলেও জুয়েল নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তারা। জুয়েলের দেয়া তথ্য তদন্তে কাজে লাগবে জানিয়েছে শিবগঞ্জ থানার ওসি আহসান হাবিব।
ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসাসহ কিছু আলামত সংগ্রহ করে তদন্তকারীরা। শিয়া মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) বগুড়ায় শিয়া মসজিদে গুলি করে মানুষ হত্যার কৃতিত্ব দাবী করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’।