খুলনায় নয় বছরের শিশুকে হত্যার দায়ে মা সোনিয়া আক্তারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
আলোচিত এই মামলার ডেথরেফারেন্স শুনানি শেষে বিচারপতি সহীদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রায় দেন। আজকের রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মা সোনিয়া আক্তার, মো. নুরুন্নবী ও মো. রসুলের দণ্ড বহাল রাখা হয়। তবে মৃত্যুদণ্ড থেকে হাফিজুর রহমানকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাফিজুরের পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
আলোচিত এই মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে খুলনার মানিকতলার সোনিয়ার সঙ্গে মো. হাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। ছয় মাস পর হাফিজুর রহমান বিদেশে চলে যান। দেশে আসার পর পারিবারিক কলহের জের ধরে দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। শিশু হাসমি তখন আড়ংঘাটা থানা এলাকার সরদারডাঙ্গা শহিদ হাতেম আহম্মেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২০১৬ সালের ৬ জুন রাতে সোনিয়াকে এই মামলার অপর আসামীদের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় শিশু হাসমি দেখতে পান বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। একপর্যায়ে মা সোনিয়ার সামনেই শিশু হাসমিকে গলা কেটে হত্যা করে লাশটি সিমেন্টের বস্তায় ভরে খুলনা বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সরদার ডাঙ্গা বিলে ফেলে দেওয়া হয়।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় শিশুটির বাবা মো: হাফিজুর রহমানের করা মামলায় বিচার শেষে ২০১৭ সালে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত রায় দেন। সে রায়ে মা সোনিয়া আক্তারসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তী আসামীদের ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে।