মারিয়া নামে আনুমানিক ছয় বছরের এই শিশুটিকে গত সোমবার রাতে চাঁদপুরের লঞ্চঘাটে পাওয়া গেছে। তার অভিভাবককে খুঁজছে স্থানীয় প্রশাসন। বর্তমানে মারিয়া চট্টগ্রামের শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রয়েছেন।
মারিয়ার পিতার নাম গাফফার ও মাতা মুক্তা। তবে সে তার ঠিকানা বলতে পারে না।
স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাঁদপুরের লঞ্চঘাট এলাকায় শিশুটিকে পাওয়া গেছে, তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে; চাঁদপুরের কোথাও তার বাড়ি। কিংবা অন্য কোনো জেলা থেকে লঞ্চে করে এসে থাকতে পারে।
মারিয়াকে চাঁদপুর মডেল থানা থেকে শিশু আদালতের আদেশ অনুযায়ী চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফরহাদাবাদে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উপ প্রকল্প পরিচালক জেসমিন আকতার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘গত শুক্রবার (৯ অক্টোবর) মারিয়াকে আমাদের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। শিশুকে তার পরিবারে ফিরিয়ে দিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। বর্তমানে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন।’
চাঁদপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৭ অক্টোবর) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে (নং-৩৫৫) । পরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চাঁদপুর-এর আদেশক্রমে প্রবেশন কর্মকর্তা, প্রবেশন কার্যালয়, চাঁদপুর এর মাধ্যমে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনবার্সন কেন্দ্র, চট্টগ্রামে ভর্তি করানো হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক আশ্রয়সহ প্রয়োজনীয় সকল মৌলিক সেবাসমূহ প্রদান করা হচ্ছে।
জানা যায়, শিশু মারিয়ার পিতা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। পরে মা এবং মেয়ে দুজনেই তার নানীর কাছে থাকতো। মা বর্তমানে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে। আর এই কারণেই শিশুটির নানী তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। সম্প্রতি শিশুটি তার মায়ের কাছ থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে হারিয়ে যায়।
যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি শিশুটিকে শনাক্ত করতে পারেন তবে অনুগ্রহ করে নিম্নোক্ত ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।
যোগাযোগের ঠিকানা
বর্তমান অবস্থান: শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, ফরহাদাবাদ (নুর আলী মিয়ার হাট), হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। মোবাইল নং- মোহাম্মদ শাহজাহান, কেইস ম্যানেজার- ০১৭৩৬২০৩০৭৪; বিপুল চন্দ্র পাল, আউটরিচ ওয়ার্কার- ০১৭৫৩৩৪৫৭৫৭।
গত রোববার (৪ অক্টোবর) চাঁদপুর লঞ্চঘাটে শিশুটিকে অভিভাবকহীন অবস্থায় ঘুরাফেরা করতে দেখে সুমন মোল্লা (৩৮) নামে জনৈক ব্যক্তি শিশুটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যান এবং শিশুটির বাড়ি খুঁজে পেতে চেষ্টা করেন।
শেষ পর্যন্ত শিশুটির পরিবারের কোনো সন্ধান না পেয়ে ওই ব্যক্তি শিশুটিকে চাঁদপুর মডেল থানায় সোপর্দ করেন।