চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শিল্পী সমিতির ইফতার মাহফিলে মধ্যমণি শবনম

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর মগবাজারের একটি কনভেনশন হলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ইফতার মাহফিল। প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আহ্বানে এমন কোনো আয়োজনে অংশ নিতে দেখা গেছে কিংবদন্তী অভিনেত্রী শবনমকে।

সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের আমন্ত্রণে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানান এই অভিনেত্রী।

এদিন ইফতার অনুষ্ঠানে বসে তারার মেলা। চিত্রনায়ক আলমগীর, রিয়াজ, ফেরদৌস, অনন্ত জলিল, বর্ষা, নিপুণ, কেয়া, সাইমন, ইমন সহ চলচ্চিত্রের অসংখ্য তারকাকে এসময় দেখা যায়। সবার মধ্যমণি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘আম্মাজান’ খ্যাত শবনম।

ইফতার অনুষ্ঠানের আগে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শবনম। জানান, জীবনে অনেক অপ্রাপ্তি থাকলেও বহুদিন পর সিনেমার মানুষের কাছে এসে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে চিরঋণী আমি।

১৯৯৯ সালে কাজী হায়াতের পরিচালনায় ‘আম্মাজান’ ছবির পর গত ২৩ বছরে আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি শবনমকে। এ বিষয়টি নিয়েও এসময় কথা বলেন শবনম। জানান, কাজী হায়াতের ‘আম্মাজান’ এর পর আর কোনো চলচ্চিত্রে উপযুক্ত চরিত্রের অভাবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো হয়নি। এরইমধ্যে চলচ্চিত্রে দেখা দেয় গভীর সংকট। এমনাবস্থায় অভিনয়ের ইচ্ছে পোষণ করলেও ভালো চিত্রনাট্যের অভাবে আর তা হয়ে ওঠেনি।

এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় দুই যুগ সিনেমার বাইরে, তারপরও আপনারা আমাকে মনে রেখেছেন, এটাই আমার অনেক বড় প্রাপ্তি।’ গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এসময় গুণী এই অভিনেত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ, চলচ্চিত্রের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন। আমাদের ভুল শুধরে দিন।’

‘নাচের পুতুল’ খ্যাত বাংলাদেশের কিংবদন্তী এই অভিনেত্রী পাকিস্তানের চলচ্চিত্রেও অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। ১৯৬০-এর দশক থেকে ১৯৮০’র দশক পর্যন্ত একাধারে সক্রিয় অভিনয় চর্চা করে গেছেন ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী শবনম। ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে শবনম-রহমান জুটি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।