চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শিরোপার মঞ্চে চোখ রেখে বুরুন্ডি চ্যালেঞ্জ

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে সেমির লড়াই

মতিন মিয়ার জোড়া গোলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের জয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার পর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ এবার টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলকারী প্রতিপক্ষ বুরুন্ডির বিপক্ষে। ঘরের মাঠের টুর্নামেন্ট বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালকে পাখির চোখ করে বৃহস্পতিবার সেমির লড়াইয়ে নামবেন জামাল ভুঁইয়ারা।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় আসরের দ্বিতীয় সেমিতে ‘বি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন বুরুন্ডির বিপক্ষে পরীক্ষা ‘এ’ গ্রুপে রানার্সআপ স্বাগতিক বাংলাদেশের।

উদ্বোধনী ম্যাচে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্যালেস্টাইনের বিপক্ষে ২-০ গোলে হার। সেই ধাক্কাকে শক্তিতে রূপান্তর করে সেমিতে এসেছে বাংলাদেশ, লঙ্কানদের উড়িয়ে। বাঁচা-মরার সমীকরণের লঙ্কা-ম্যাচে ওরকম জয় আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে জেমি ডের শিষ্যদের।

শিরোপার আশা আছে। বুরুন্ডি পরীক্ষায় উতরে যেতে না পারলে ঘরের টুর্নামেন্টে দর্শক বনে যেতে হবে সেমিতেই। লাল-সবুজরা ফাইনালের টিকিট কাটতে আক্রমণকে মূলমন্ত্র বানাচ্ছে। আসরের অন্যতম সেরা রক্ষণ প্রদর্শনী রাখা বুরুন্ডির বিপক্ষে টাইগার কোচের কৌশল আক্রমণ ছকে খেলা গড়া।

প্যালেস্টাইনের বিপক্ষে ঊরুর চোটে পড়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে পারেননি। সেমিতে জামাল ফিরছেন। দুদিন কোনো অস্বস্তি ছাড়াই অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন অধিনায়ক।

বাংলাদেশ দলের যে চিরায়ত সমস্যা, কে করবেন গোলের খেলার গোলটা? আক্রমণগুলোকে গোলে রূপান্তর করতে না পারার সেই আক্ষেপ শ্রীলঙ্কা ম্যাচে তিন তিনবার ঘুচিয়েছে স্বাগতিকরা। দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে সেটিও।

বুরুন্ডি অবশ্য ছেড়ে কথা বলবে না। পারফরম্যান্সে শান দিয়েই সেমিতে নামতে যাচ্ছে তারা। চলতি টুর্নামেন্টে তাদের গোলের নেশা বলছে, কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে জামালদের জন্য। মরিশাসকে ৪-১, সিশেলসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে এসেছে দলটি।

টুর্নামেন্টে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা যিনি, তিনি খেলবেন বুরুন্ডির হয়েই! এনসিমিরিমানা জসপিন। এ ফরোয়ার্ড মরিশাস ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন। সিশেলসের বিপক্ষে করেছেন এক গোল। সবমিলিয়ে ৪ গোল করে তালিকার শীর্ষে আছেন।

সেখানে চোটজর্জর স্কোয়াড আর কার্ড সমস্যায় বাংলাদেশের রক্ষণেই সর্বোচ্চ সমস্যা! চোটে ইয়াসিন খান টুর্নামেন্টে নেই। আরেক নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার তপু বর্মণ কাটা পড়েছেন কার্ডের কারণে। রায়হান হাসান, রিয়াদুল ইসলাম, রহমত মিয়া, বিশ্বনাথ ঘোষদের মতো তরুণদের উপর তাই ভরসা রাখতে হবে বাংলাদেশ কোচকে।

রানার্সআপ হয়ে সেরা চারের রাস্তা খোলার পথে না থাকা জামাল ফিরে জানিয়েছেন, তরুণদের নিয়েই রক্ষণে অটুট বন্ধন গড়বে বাংলাদেশ। পাশাপাশি আক্রমণে বাড়তি গুরুত্ব দেবে। কোচ জেমি ডে অ্যাটাক ও ডিফেন্সের সমন্বয়ের জন্য পরিকল্পনা আঁটছেন।

আসরে এপর্যন্ত ৭ গোল দেয়া বুরুন্ডির আক্রমণভাগ নিয়ে সতর্ক থাকতেই হবে বাংলাদেশকে। আবার মাত্র ২ গোল খেয়ে তারা যে শক্ত রক্ষণের পরিচয় রেখেছে, সেই দেয়াল ভাঙায়ও সফল হতে হবে। ছয় জাতির বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ফাইনালে খেলার স্বপ্ন তাতে পথ খুঁজে পাবে।