বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আবরার ফাহাদ নামের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীকে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আবরার ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন, ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া।
আবরারের রুমমেট সৈকত বলেন, ‘সন্ধ্যা সাতটা থেকে আটটার মধ্যে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় আবরারকে। তারপর আর জানি না। রাত দুইটার সময় ওর লাশ পাওয়া যায় একতলা আর দুইতলার মাঝের স্থানে।’
আবরারকে দেখতে পেয়ে তার বন্ধুরা ডাক্তার ডাকলে বুয়েট মেডিক্যাল অফিসার মো. মাশুক ইলাহী রাত তিনটায় আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাসুক এলাহী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। রাত ৩টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাতে বুয়েট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হল থেকে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।