কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরণের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উপাচার্যবিরোধী শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনের মধ্যেই এমন নির্দেশ দিয়ে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ (অধিশাখা-১৮) এর উপসচিব হাবিবুর রহমান সাক্ষরিত চিঠিটি সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অফিসে এসে পৌঁছায়।
চিঠিতে জানানো হয়, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি হতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
একই সাথে এই অভিযোগ নিয়ে শিক্ষকসমিতি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছে।
শিক্ষকসমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন: আমরা গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ নিয়োগ বন্ধে রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্বারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি প্রশাসন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্যদিকে সোমবার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটুক্তিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শায়খুল হোসাইনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী দশ কার্যদিবসের মধ্যে এ ব্যাপারে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এর আগে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ,কর্মচারি সমিতি ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারি পরিষদ।