শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে কালো থাবা বিস্তার করে বিএনপি-জামায়াত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে ১৪ দল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসিম বলেন, তাদের (বিএনপি- জামায়াত) কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের শক্তি ঐক্যবদ্ধ ছিলো বিধায় তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা শুধু ব্যর্থ হয়নি তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন: ‘আপনারা (সাংবাদিক) এ ক’দিন ধরে দেখেছেন, দেশের কয়েকজন নামকরা রাজনীতিবিদরা কী কথা বলেছে? উস্কানিমূলক কথা বলেছেন। একজন মানুষ যখন ব্যর্থ হয় তখন তিনি আবোল-তাবোল কথা বলেন। একজন বলেছেন গুলি কর আমাকে। কে কাকে গুলি মারবে বলেন!’
তিনি বলেন: ‘তারা সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে এক হয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অনেক চেষ্টা করেছে। এ ধরণের ব্যক্তিরা জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে জাতিকে ধ্বংস করার চেষ্টায় লিপ্ত, বার বার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে।’
স্বাস্থমন্ত্রী বলেন: ‘আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করবো কঠোরভাবে এ সমস্ত অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তারা এখন চিহ্নিত হয়ে গেছে, উন্মোচিত হয়ে গেছে। আন্দোলনে তারা একটি লাশ চেয়েছিলো। তারা লাশের উপর ভর করে অসাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছে।’
নাসিম বলেন: ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। আমরা চাই নিরাপদ সড়ক আইন বাস্তবায়ন হোক। সড়কে নৈরাজ্য হয়েছে আর হতে দেয়া যায় না। সড়কে নৈরাজ্য বন্ধে প্রশাসন কে তিনি কঠোর হতে হবে।’
জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন: ‘রাস্তায় লাইসেন্স ছাড়া কোনো গাড়ি চলবে না। আমাদেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। রাস্তা পারাপারে ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।’
লাইসেন্স ছাড়া কোনো এমপি-মন্ত্রী গাড়ি ও যাতে ছাড় না পায়, সেদিকে নজর দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও দৃষ্টি আর্কষণ করেন তিনি।
ওয়ার্কার্স পাটির পলিট ব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম,বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ অনেকে।