নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মো. ইয়াছিন হোসেন (১৪) নামের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে একদিনে একইসঙ্গে করোনার তিন ডোজ ফাইজার টিকা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন।
গত বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মো. ইয়াছিন হোসেন ওরফে আরাফাত (১৪) উপজেলার ৭নং হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং একই ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের নেয়াজ আলী বেপারী বাড়ির ইব্রাহীম খলিলের ছেলে।
ভুক্তভোগীর দাদা আবুল কালাম ভান্ডারী বলেন, তিন ডোজ টিকা দেওয়ার পর তার নাতির গলা ব্যাথা ও শরীরে জ্বর দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে পরিবার-স্বজনরা শঙ্কায় রয়েছেন। বর্তমানে সে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
হাটকুপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো.হানিফ বলেন, আজ বুধবার সকালে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীকে ফাইজার টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়। একপর্যায়ে ইয়াছিনের বাহুতে পরপর তিন ডোজ টিকা দেয় টিকাদান কর্মী দিদার হোসেন। পরে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে ইয়াছিন স্কুলে পৌঁছে তাকে তিন ডোজ টিকা দেওয়ার কথা জানায় আমাকে। আমি বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের অবহিত করি।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.মোস্তাক আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত টিকাদান কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তিনটি নয় ভুলবশত ২ ডোজ টিকা ওই শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।