টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থী সাব্বির সিকদারকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়ায় সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তলব করেছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত সাব্বিরকে জামিনও দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্টের অবসরকালীন ডিভিশন বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
ওই আদেশে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম রফিকুল ইসলাম এবং সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলমকে সকাল সাড়ে ১১ টায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন দণ্ডপ্রাপ্ত সাব্বিরকেও হাইকোর্টে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের শাহীনুর আলমের ছেলে এবং প্রতিমা বংকী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেন তার ‘সাব্বির সিকদার’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়ের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে অশালীন ভাষায় গালাগাল দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
হুমকি পেয়ে ওইদিন রাতেই সংসদ সদস্যের ফুফতো ভাই শিবলী মিয়া সখীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে সখীপুর থানা পুলিশ ফেসবুকের সূত্র ধরে হুমকিদাতা সাব্বির ও তার বন্ধু একই গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে রোমান আহমেদকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সাব্বির সিকদার সংসদ সদস্যকে হুমকির কথা স্বীকার করে। অন্যদিকে ঘটনার সঙ্গে রোমান আহমেদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এর ১দিন পর রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাব্বিরকে হাজির করলে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম রফিকুল ইসলাম অভিযুক্ত সাব্বিরকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। পুলিশ সোমবার সাব্বিরকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠায়।
এ বিষয়ে জানতে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসিকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।