ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও গ্রাম পর্যায়ে নানান প্রতিকূলতার মুখে সেই প্রস্তুতি অনেকটাই পিছিয়ে। কয়েকটি জেলায় সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বন্যা।
করোনা মহামারীর কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় শহরের চেয়ে গ্রাম পর্যায়ে তুলনামূলক সীমিত সামর্থে চলছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রস্তুতি। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।
তবে দেশের বেশ কয়েক জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বন্যা।
শরীয়তপুর জেলার ৬৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার সব প্রস্তুতি নেয়া হলেও বন্যায় এরই মধ্যে ৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে।
টাঙ্গাইলেও অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি এসেছে। এরইমধ্যে চলছে ধোয়া-মোছার কাজ। জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিশুদের ঝরে পড়ার আশংকা করছেন শিক্ষকরা। ঝরে পড়া শিশুদের আবারো স্কুলে নিয়ে আসতে প্রচেষ্টা চালানোর উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।