বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ হবে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ কমিশনের মাধ্যমে। সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসি’র আদলে গঠিত এই কমিশন শূন্য পদের হিসেবে করে প্রার্থী বাছাই করবে।
এমপিওভূক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন দিতে সরকারের খরচ হয় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। এতোদিন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির হাতে। দীর্ঘ দিন থেকেই শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ থাকায় শিক্ষানীতির আলোকে সরকার গঠন করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনপিআরসিএ। আগামী মাস থেকেই এই কৃর্তপক্ষের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ৩৬ হাজারের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই সব শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় যেটা স্থানীয়ভাবে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আমরা পিএসসির অনুরূপ একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সকল ক্ষেত্রে উপযুক্ত ও দক্ষ লোক নিয়াগ দিবো।
এই কার্যক্রমের কারণে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।
নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, উপযুক্তভাবে বাছাই পরীক্ষা নিয়ে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষ লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। আমরা এখন সেই কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। আগামী মাস থেকে চালু করবো। তবে এসব কাজ আমরা অনলাইনে কাজ করতে চাই যেন এখানে কোনো ত্রুটি না হয়। এবং যেন স্বচ্ছতা থাকে।
অনলাইনে শিক্ষকরা চাকরির জন্য আবেদন করবেন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে একটি চুক্তি সাক্ষর হয়। ৩০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ সফটওয়ারের মাধ্যমে অনলাইনে কোন পদে কতগুলো শিক্ষক নিয়োগ করবেন তার চাহিদা দেবেন। প্রার্থীরা সেখানে আবেদন করলে প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধাপে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেবেন।