ক্লাসে ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর ব্যঙ্গচিত্র দেখানোয় শিক্ষককে গলাকেটে হত্যার ঘটনাটি ‘ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
শুক্রবার বিকেলে ফ্রান্সের উত্তর-পশ্চিম প্যারিসের সান্ত-অনোরিন নামক স্কুলের শ্রেণিকক্ষে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স: ) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও সেটা নিয়ে আলোচনা করার কারণে ইতিহাসের শিক্ষককে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
তবে শিক্ষকের ওপর হামলাকারী ব্যক্তিকে পুলিশ ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ম্যাঁক্রো সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রেসিডেন্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলাকারী বড় একটি ছুরি ও এয়ারসফট পিস্তল নিয়ে আসেন। ওই শিক্ষক যে স্কুলে শিক্ষকতা করেন সেটার সামনেই তার ওপর হামলা করা হয়। পুলিশ কাছাকাছি যাওয়ার আগেই ওই শিক্ষকের গলা কেটে ফেলে হামলাকারী। এরপর পুলিশ সেখানে পৌঁছে হামলাকারীকে আত্মসমর্পন করতে বলে। হামলাকারী আত্মসমর্পন করতে অস্বীকৃতি জানালে ৬০০ মিটার দূর থেকে গুলি করে তাকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে ১০ দিন আগে ওই শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে মহানবীর ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন দেখিয়েছিলেন। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্কও করেছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকেই তিনি নানাধরনের হুমকি পেয়ে আসছিলেন।
ঘটনার পর ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরাও শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। তবে যে ব্যক্তি শিক্ষকের ওপর শুক্রবার হামলা করেছেন তিনি কোনো ছাত্র কিংবা অভিভাবক নন।
ধারনা করা হচ্ছে কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। আর হামলাকারীর সঙ্গে সন্ত্রাসী গ্রুপের যোগসাজশ থাকতে পারে।