শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহরিয়ার মজুমদারের জন্য শোকসভায় প্রিয় ছাত্রের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন জনপ্রিয় লেখক ও শাবিপ্রবি শিক্ষক ড. জাফর ইকবাল।
সোমবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের ব্যানারে ক্যাম্পাসে শাহরিয়ারের মজুমদারের জন্য শোকমিছিল ও শোকসভার আয়োজন করা হয়।
শোকসভায় জাফর ইকবাল বলেন, ‘অনলাইনে শাহরিয়ারের সাথে আমার একটা ছবি দেখলাম। আজ আমি বেঁচে আছি, কিন্তু সে নেই। অথচ প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে আমারই আগেই যাওয়ার কথা ছিলো।’
এটুকু বলতেই গলা ভারি হয়ে উঠে মুহম্মদ জাফর ইকবালের, ভিজে যায় চোখ।
জাফর ইকবাল আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো অনেক ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। আমরা গিয়েছি, শিক্ষার্থীদেরকে কোলে করে নামিয়েছি। এই অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। যেহেতু আত্মহত্যায় কাউন্সিলিং অথবা এই ধরনের সংগঠনের সাথে প্রফেসর ইয়াসমীন এবং আমি নিজেও জড়িত, মানুষ আত্মহত্যা করার আগে কি করে কিংবা মানসিক অবস্থা কি হয় সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে।
‘কোনো ভাবেই আমি এটাকে আত্মহত্যার সাথে মিলাতে পারি না।’ এতো উৎসাহী, সকল বিষয়ে আগ্রহী একটা ছেলে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না’
তিনি শাহরিয়ারের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের জন্য উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানান।
গত বৃহস্পতিবার আখালিয়ার একটি বাসা থেকে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শহারিয়ার মজুমদারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বন্ধুদের দাবি শাহরিয়ারকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশের ধারণা এটা ছিলো আত্মহত্যা।