হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী, দর্শনার্থীসহ অন্যান্যদের মশার উৎপাত থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে মশা দমনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিবাদিদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব, বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দর সংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইনে ‘শাহজালাল বিমানবন্দর: মশার পরান বধিবে কে?’ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ছাপা কাগজে ‘ছেঁকে ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশের প্রধান এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ থেকে শুরু করে হাজারো যাত্রী-সবাই মশার কাছে আত্মসমর্পণ করে নিত্যদিন আসা-যাওয়া করছেন। শুধু কি তাই, শ্রমিক, শুল্ক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য-যারা পেশার প্রয়োজনে শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রতিদিন আসেন, তাদের মশার কামড় খেতেই হয়। মশা মারতে কখনো কখনো ফগার মেশিনের তর্জন-গর্জনও চলে। কিন্তু বিমানবন্দরে মশার দাপট একটুও কমে না। আর মশা মারা নিয়েও চলে রশি টানাটানি। সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের জবাব, ‘মশা মারার দায় সিটি করপোরেশনের। আর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলে ‘অনুমতি ছাড়া বিমানবন্দরে প্রবেশ নিষেধ। অনুমতি দিয়ে ডাক দিলে তারা মশা মারতে সদা প্রস্তুত।’
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠান। এই নোটিশের জবাব না পেয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে মশার উৎপাত বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
সেই রিটে উল্লেখ করা হয়, মসার কামড়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো ভয়াবহ জ্বর হয়। যে জ্বরে অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।