চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শাজাহানপুরে জোড়া খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে আকাশ

রাজধানীর শাজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ ছাত্রী সামিয়া প্রীতি হত্যা ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ‘মূল ঘাতক’ মাসুম মোহাম্মদ আকাশ হত্যায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হবে বলে ডিবি পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

সকালে ‘মূল ঘাতক’ হিসেবে আকাশকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, অস্ত্র হলো আমাদের তদন্তের আলামত। তদন্তের জন্য  আমরা বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করি। কিলিং এ কে ছিল তা আমরা জানার চেষ্টা করেছি। ঘটনার পর ৫/৬ ঘণ্টার মধ্যেই নিশ্চিত হই, সেই কিলিং মিশনে সেসহ দুজন ছিল। আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, তদন্তে নিশ্চিত হয়েছি, সে কিলিং মিশনে ছিল। আসামী নিজেই শিকার করেছে। আসামী বর্ডার দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। তার পূর্ববর্তী পরবর্তী আচরন, তাৎক্ষণিক কার্যক্রম, পালানোর সময় তার কর্মকাণ্ড, সিসিটিভি এবং তার মোটরসাইকেলের ব্যবহারসহ সব কিছু মিলিয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েই তাকে গ্রেপ্তার করেছি।

গত ২৪ মার্চ রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি ছোড়া গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতি নিহত হন।

রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে খিলগাঁও রেলগেটের সিগনালের জন্য জাহিদুল ইসলাম টিপুর গাড়িটি রেলগেটের কাছাকাছি বাটার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তের এলাপাতাড়ি গুলি। গুলিবিদ্ধ টিপুকে প্রথমে শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গোলাগুলির ঘটনার সময়ে পাশ দিয়ে যাওয়া রিকশা আরোহী কলেজ ছাত্রী প্রীতি গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।