”শাকিব ছাড়া অন্য শিল্পীরা বেকার হয়ে যাচ্ছে। তাদের হাতে কাজকর্ম নেই। চলচ্চিত্রের খারাপ সময়ের মধ্যেও শাকিবের ব্যস্ততা দেখে ‘কাজ না পাওয়া শিল্পীরা’ তার থেকে শিক্ষা নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়িকা নূতন।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রবিবার (১৪ এপ্রিল) এফডিসির মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সের সামনে নৃত্যপরিচালক সমিতির আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে এ আয়োজন চললেও দুপুর ৩ টার পর ওই আয়োজনে আসেন নূতন।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে একসময়কার দাপুটে এই অভিনেত্রী বলেন, দিনের পর দিন বেকার শিল্পীরা ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছে। কোনো শিল্পীই চায় না ঘরে বসে থাকতে। তার মন পড়ে থাকে এফডিসিতে। এই জায়গাটাই একজন শিল্পীর ঘরবাড়ি, মা-বাবা স্বপ্ন সাধনার জায়গা। কাজ না থাকলে একজন শিল্পী হয়ে যায় মূল্যহীন। অনেক সিনিয়র শিল্পীরা তাদের যথাযথ মূল্য পাচ্ছেন না।
নূতন বলেন, একটা সিনেমা ভালো হলে দর্শক এখন শিল্পীদের মোবাইল নাম্বার কিংবা ফেসবুকে মেসেজ পাঠিয়ে প্রশংসা করেন। আমার নিজের ক্ষেত্রে এটা হয়েছে। খুব ভালো লাগে এ বিষয়টা। কিন্তু চলচ্চিত্রের অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় এগুলো এখন দর্শক করেন না। তারা ভালো ভাবে সিনেমাই দেখতে পারছে না।
তিনি বলেন, এই অবস্থা ঠিক করতে শিল্পীরা যেমন কাজ করে যাচ্ছে একইভাবে চলচ্চিত্রের ভালোর জন্য দর্শকরাও কাজ করতে পারে। চলচ্চিত্রের অবস্থা খারাপ বলে এখন আমাকে নিয়মিত দেখা যায়না। চলচ্চিত্রকে ভালোর পথে আনতে হলে শিল্পীদের সঙ্গে দর্শকদেরও কষ্ট করতে হবে। সরকারকে চলচ্চিত্রের দুরাবস্থার কথা জানাতে হবে।
আমাদের অনেক অনেক সিনেমা হল দরকার, সরকারের যথাযথ দৃষ্টি আকর্ষণে শিল্পী ও দর্শক সবাইকে এক হতে হবে বলে মনে করেন ১৯৯১ সালে ‘স্ত্রীর পাওয়া’ ছবির মাধ্যমে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার অর্জন করা এই অভিনেত্রী।
সবশেষে নবীন শিল্পীদের উদ্দেশ্যে নূতন বলেন, নতুনরা চেষ্টা করে ভালো কাজ করার। তবে অনেকের মাঝে ধৈর্যটা খুব কম। ধৈর্য ধরে কাজ করলে তাদের আগামীর পথ মসৃণ হতে পারে। রাতারাতি যারা তারকাখ্যাতি পেতে চায় তাদের সম্ভাবনা তাড়াতাড়িই শূন্যের কোঠায় চলে আসে। তাই নতুনদের ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হবে।