চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও সাইমন সাদিক দুজনই শাকিব খানের ওপর হামলার ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জায়েদ খান বলেন, ‘নির্বাচনের পর রাতে কিছু উশৃঙ্খল ব্যক্তি শাকিব খানের সঙ্গে দূর্ব্যবহারের চেষ্টা করছিল। তখন মিশা সওদাগর এগিয়ে আসেন তাকে রক্ষা করতে। সঙ্গে আমিও ছিলাম। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে শাকিব খান থানায় অভিযোগ করেছেন শুনে অবাক হয়েছি। তিনি তো নিজেই দেখেছেন আমি তাকে রক্ষার চেষ্টা করেছি।’
সাইমন সাদিক বলেন, ‘বিষয়টা জানার পর অবাক হয়েছি। কেন আমার নামে অভিযোগ করা হয়েছে বুঝতে পারছি না। নির্বাচনের পর রাতে যারা শাকিব খানকে রক্ষার জন্য চেষ্টা করে, তাদের সঙ্গে তো আমিও ছিলাম। সেটা কি শাকিব খান দেখেননি। কোথাও একটা বড় ভুল হচ্ছে। কেউ শাকিব খানকে মিস গাইড করছে।’
গত শুক্রবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর রাতে ভোট গণনার সময় এফডিসিতে শাকিব খানের ওপর হামলার ঘটনায় আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে জায়েদ খান ও সাইমন সাদিকের বিরুদ্ধে শাকিব খান তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পর মুখ খুলেছেন তারা দুজন।
৫ মে নির্বাচনের দিন মধ্য রাতে ভোট গণনার সময় এফডিসিতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে প্রবেশ করেন। সে সময় তিশাকিব খান মদ্যপ ছিলেন বলে নির্বাচন কমিশন মারফত জানা গেছে। তিনি নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করতে পারেন এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে তার বাইরে বের করে দেওয়া হয়। তিনি বের হওয়ার পর উপস্থিত সাধারণ ভোটারদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। পুলিশি নিরাপত্তায় শাকিব খানকে এফডিসি থেকে বাইরে বের করে আনা হয়। এ সময় শাকিবের পাশে মিশা সওদাগরও ছিলেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর আর সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। গত শনিবার সকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর।
ছবি : সংগৃহীত