এই সময়ের ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম বিদ্যা সিনহা মিম। ২০০৭ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার হওয়ার মাধ্যমে মিডিয়ায় তার যাত্রা শুরু। এরপর মডেলিং ও অভিনয় দিয়ে নিজের অবস্থান আরো পোক্ত করেন তিনি। প্রথমে ছোট পর্দায় নিয়মিত কাজ করলেও বর্তমানে চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনে তুমুল ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সমানতালে কাজ করছেন ঢাকা ও কলকাতার সিনেমায়। শুক্রবার এই চিত্রনায়িকার জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এসেছিলেন চ্যানেল আই কার্যালয়ে, কথা বলেছেন চ্যানেল আই তারকা কথন অনুষ্ঠানে। এর ফাঁকে তিনি কথা বলেন চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে। কথায় কথায় তিনি জানান বর্তমান ব্যস্ততা ও আগামি দিনের কাজের পরিকল্পনা নিয়ে-
কেমন আছেন?
ভালো আছি…
কাজ নিয়ে ব্যবস্তা কেমন?
হ্যাঁ, সে তো লেগেই আছে। এইতো শাকিব খানের সঙ্গে ‘আমি নেতা হব’ ছবির কাজ প্রায় শেষ করলাম। আর দুটো গানের শুটিং বাকি। তাহলেই এই ছবির কাজ শেষ হবে।
শাকিব খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
এককথায় দারুণ। আমি তার সঙ্গে এর আগেও কাজ করেছি। এবার প্রায় আট বছর পর আবার শাকিবের সঙ্গে কাজ করলাম। আট বছর আগেও শাকিব খান সুপারস্টার ছিলেন। কিন্তু আমি তখন নতুন ছিলাম। আট বছর আগে যে শাকিবকে দেখেছি, সেই শাকিবের কোনো পরিবর্তন আমি পাইনি। সে এতো বড় একজন তারকা, তবু তারমধ্যে তথাকথিত হিরোটাইপ কোনো ভাব ছিলো না কখনোই। সেই সময়ে কাজ করতে গিয়ে বেশ সহযোগিতা পেয়েছি তার কাছে, এখনও পাই।
ঢাকাই সিনেমার পাশাপাশি আপনি কলকাতায়ও নিয়মিত কাজ করছেন, সেখানে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
ওখানে সর্বশেষ কাজ করেছি ‘ইয়েতি অভিযান’ ছবিতে। কাকাবাবু সিরিজের ছবি এটা। ছবিটি কলকাতায় অলরেডি মুক্তিও পেয়েছে এবং সুপার ডুপার হিট হয়েছে। আমাদের দেশেও ছবিটি এখন মুক্তির অপেক্ষায়। প্রথমে এটি যৌথ প্রযোজনায় আসার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় হয়নি। এখন সাফটা চুক্তির মাধ্যমে নভেম্বর শেষে অথবা ডিসেম্বর নাগাদ ছবিটি মুক্তি পাবে বাংলাদেশে।
কলকাতা এবং বাংলাদেশে কাজের পরিবেশের পার্থক্য কেমন মনে হয়েছে আপনার কাছে?
কলকাতায় সবাই অনেক বেশি প্রফেশনাল। আমাদের দেশেও যে নয়, তা কিন্তু নয়। আমি যখন শুটিংয়ে সুইজারল্যান্ড যাই তখন মনে হয়েছে হলিউডের কোনো ছবির কাজ করতে এসেছি (হা হা হা)। এত বড় পরিসর! আর সবচেয়ে বড় ফারাক ছবির বাজেট। কলকাতার ছবিগুলো অনেক বড় বাজেটের হয়। সেই তুলনায় আমাদের বাজেট খুব কম থাকে। ‘ইয়েতি অভিযান’ ছবিটির বাজেট ছিল চার কোটির বেশি। ওখানে কাজ করতে গিয়ে কখনও কিছুর অভাব বোধ করিনি। সবকিছু যেন প্রস্তুত থাকতো সময়ের আগেই। আর আমাদের এখানে ছবির বাজে থাকে এক কোটি, কিংবা একটু বেশী বাজেটধারী কোনো সিনেমা হলে সেটা বেড়ে বড়জোর দেড় কোটিতে ঠেকে।
কলকাতায় সহ-শিল্পীরা কেমন ছিলেন?
দারুণ। যেমন ‘ইয়েতি অভিযানে’ আমার সঙ্গে ছিলেন বুম্বা দা (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়), যিশু। তাদের আমি অনেক বড় ফ্যান। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আমার জন্য একটা বড় প্রাপ্তি। আর আন্তরিকতা! বুম্বা দা তো আমাকে বলেই ফেললেন তুমি আমার মেয়ের মতো। এটা অনেক বড় একটা বিষয়।
বিজ্ঞাপনচিত্র বা নাটকের কাজের ব্যস্ততা কেমন?
এইতো লাক্সের একটা কাজ করলাম। খুব শিগগির সেটা পর্দায় আসবে। তাছাড়া অনেক কোম্পানীর তো ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আছি। পাশাপাশি আরও কিছু কোম্পানীর সাথে কথা চলছে। নাটকের কাজ নিয়েও ব্যস্ত আছি।
সামনে দেশি কোনো সিনেমার কাজ কী শুরু করছেন?
হ্যাঁ এইতো সামনে ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারি নাগাদ ‘মামলা হামলা ঝামেলা’ ছবির কাজ শুরু হবে। যদিও তারিখ এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। ওটাও শাকিব খানের সাথেই।
অনেক ধন্যবাদ চ্যানেল আই অনলাইনকে সময় দেবার জন্য…
আপনাকেও ধন্যবাদ।