বাংলাদেশের আকাশে রোববার সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল সোমবার সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, আজ বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে। তাই আগামীকাল সারাদেশে ঈদ উদযাপিত হবে। রোববার সন্ধ্যায় খুলনা ও ফেনীতে চাঁদ দেখা যায়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য ও ধর্ম সচিব মো. নূরুল ইসলাম। এছাড়া সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য রয়েছেন।
এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ভিন্ন আবহে এসেছে ঈদের বারতা। যেখানে দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর দেশের মুসলমানদের ঈদের আনন্দে মেতে ওঠার অপেক্ষায় থাকার কথা, সেখানে করোনা থেকে বাঁচতে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে দুই মাস ধরে কাটছে বন্দিদশায়।
করোনার কারণে এবার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত হচ্ছে না। সকল উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবার ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাতে শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়।
ইসলামিক ফাউেন্ডশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিজের বাসা থেকে অজু করে মসজিদের ঈদ জামাতে আসাসহ ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ঈদ উপলক্ষে ডিএমপির নির্দেশনাগুলো হলো- ঈদের নামাজের জামাতের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
মসজিদে প্রবেশদ্বারে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে, মসজিদের ওজুখানা ব্যবহার না করে প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসস্থান থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে, ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে, এক কাতার অন্তর অন্তর কাতারবদ্ধ হতে হবে।