লক্ষ্য আওতার মধ্যেই ছিল। কিন্তু প্রাইম ব্যাংকের আসল সর্বনাশটা করেছে প্রকৃতি। মঙ্গলবার দুপুরে হওয়া একপশলা শিলা-বৃষ্টিতে ঘটে ছন্দপতন। টানা জয়ের স্বাদ পাওয়া প্রাইম ব্যাংককে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় হারের স্বাদ দিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব!
অষ্টম রাউন্ডে এসে শীর্ষে থাকার দৌড়ে বেশ ভালো ধাক্কাই খেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। বৃষ্টি আইনে শাইনপুকুরের কাছে দলটির হার ৪৮ রানের। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল- আবাহনী ও লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের সঙ্গে দলটির পয়েন্ট ব্যবধান দুই। আট ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটের ব্যবধানে একে আবাহনী, দুইয়ে রূপগঞ্জ। হেরে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে প্রাইম।
ফতুল্লায় প্রথমে ব্যাট করে পুরো ৫০ ওভার খেলার সুযোগ পেয়েছে শাইনপুকুর। সাদমান ইসলাম ও তৌহিদ হৃদয়ের ফিফটিতে ৮ উইকেটে ২৪৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় দলটি। ৯৪ বলে ৭৮ করেছেন এবারের ডিপিএলে ফর্মে থাকা ওপেনার সাদমান।
ফর্মে থাকা আরেক ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় খেলেছেন ১১৭ বলে ৮৩ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস। ২৮ বলের ৪৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শুভাগত হোম।
শাইনপুকুরের ইনিংসের পরপরই ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। বেশ লম্বা সময় ধরে বর্ষণের পর বৃষ্টি থামলে প্রাইম ব্যাংকের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ ওভারে ১৪৯।
পুরো ১০ উইকেট থাকায় খুব যে মেরে খেলতে হত প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটসম্যানদের এমনও নয়। ফর্মে থাকা এনামুল হক বিজয়, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, অলোক কাপালি, আরিফুল হকদের মত একাধিক বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানদের একজনও জ্বলে উঠতে পারলে ম্যাচ জেতাও কঠিন ছিল না। কিন্তু ছন্দহীন হয়ে এক ভারতীয় অভিমন্যু ছাড়া অন্যদের একজনও পাননি দুই অঙ্কের দেখা!
প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল অভিমন্যুর ব্যাটে এসেছে ৩৯ রান, যা প্রাইমেরও দলীয় সর্বোচ্চ! চলতি আসরে টানা তিন সেঞ্চুরি হাঁকানো এনামুল এদিন কোন রানই পাননি। আরেক ওপেনার জাকির হাসান আউট হয়েছেন ১ রানে। আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান আল-আমিন সাজঘরে ফিরেছেন এনামুলের মতই, শূন্যরানে!
পেসার দেলোয়ার হোসেনের ছোবলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় প্রাইম। শাইনপুকুরের এ বোলার ৩ ওভারে ১৬ রান খরচায় পেয়েছেন ৩ উইকেট। অলরাউন্ডার সাব্বির হোসেনের উইকেট সংখ্যা ২। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে কোনরকমে ১০০ রান তুলে মান বাঁচিয়েছে প্রাইম।