চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শহিদুলের সেই সাক্ষাতকার দেখবেন হাইকোর্ট

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে গ্রেপ্তার আলোকচিত্রী শহিদুল আলম আল জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলে যে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন, তার ভিডিও ফুটেজ জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার শহিদুলের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই ভিডিও ফুটেজ জমা দিতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

শুনানির এক পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, ‘মাই লর্ড। নিরাপদ সড়ক নিয়ে চলা আন্দোলন সময় শহিদুল আলম আল-জাজিরা টিভি চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সে সাক্ষাতকার বিশ্বব্যাপী সম্প্রচারিত হয়। উনি সেখানে দেশের পরিস্থিতি যেভাবে তুলে ধরেন তা মোটেই সঠিক ছিল না।’

এরপর আদালত সাক্ষাতকারের ফুটেজ জমার নির্দেশ দিয়ে বলেন, আচ্ছা আমরা আগে বৃহস্পতিবার ওই ভিডিও ফুটেজটা দেখি যে সেখানে কি বলা হয়েছে।

গত ৬ আগস্ট এ মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

পরে সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারিক আদালত।

এরপর গত ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

কিন্তু গত ১৯ আগস্ট শহিদুলের জামিন আবেদন শুনানির তারিখ এগোনোর আবেদন করা হলে তা গ্রহণ না করে একই আদালতে গত ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলে আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি।

এরপর গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে শহিদুল আলম জামিন আবেদন করলে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি শুনতে বিব্রতবোধ করেন।

তখন নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যায় এবং তিনি নতুন বেঞ্চে জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠান।

সেই ধারাবাহিকতায় জামিন আবেদনটি বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য আসে। হাইকোর্টের এই বেঞ্চ শহিদুল আলমের জামিন আবেদন ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

গত ১১ সেপ্টেম্বর শহিদুলের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে তা নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস। এই নামঞ্জুরের আদেশের পর হাইকোর্টের এই বেঞ্চে আবার জামিন আবেদন করেন শহিদুল।

পরবর্তীতে গত ৭ অক্টোবর হাইকোর্ট শহীদুলের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক ও মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে শহিদুল আলমকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গত ৬ আগস্ট গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তবে তার পরিবারের দাবি, আগের দিন ৫ আগস্ট রাতে শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।