চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শর্তসাপেক্ষে লকডাউন শিথিল করা হবে: বরিস জনসন

করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা সবকিছু নতুন করে খোলার ‘শর্তসাপেক্ষ পরিকল্পনা’ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। নতুন পরিকল্পনা অনুসারে বুধবার থেকে সেখানে মানুষ আরো বেশি সময় ঘরের বাইরে কাটাতে পারবে।

জনগণের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে জনসন বলেন, যাদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ নেই তারা কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারবে তবে অবশ্যই গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে হবে।

পাঁচটি ধাপ সম্পন্ন নতুন কোভিড সতর্কতা সিস্টেমটিই নিয়ন্ত্রণ করবে কত দ্রুত লকডাউন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। তার আশা পরবর্তী ধাপ হিসেবে ১ জুনের আগেই কিছু শিশু স্কুলেও যেতে পারবে।

তিনি যোগ করেন, এই ধাপে দোকানপাটও খুলবে তবে সেটা শুধুমাত্র বিজ্ঞানসম্মতভাবে। তারপরের ধাপে আতিথেয়তার ব্যবসা ও অন্যান্য পাবলিক প্লেস খুলে দেওয়া হবে যদি আক্রান্তের সংখ্যা সেটা করার সমর্থন দেয়। তবে তা ১ জুলাইয়ের আগে নয়।

সমাজ নতুন করে খোলার রোডম্যাপের প্রথম স্কেচ হচ্ছে এসব পদক্ষেপ। তিনি যোগ করেন, এই সপ্তাহেই লকডাউন সাধারণভাবে শেষ করার সময় আসেনি। তার থেকে বরং আমরা কিছু সচেতন পদক্ষেপ নিচ্ছি আমাদের আগের পদক্ষেপগুলোকে উন্নত করার জন্য।

যারা লকডাউনের নিয়ম ভাঙবেন তাদের জরিমানা বৃদ্ধি করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন বরিস জনসন। সোমবার লকডাউনের নতুন নির্দেশনার বিস্তারিত প্রকাশিত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এক সরকারি কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, নতুন নির্দেশনা অনুসারে আপনি নিজের বাড়ির বাইরে একজনের সঙ্গে পার্কে দেখা করতে পারবেন যদি আপনাদের মধ্যে ২ মিটারের দূরত্ব থাকে। পার্ক ও বিচে সামাজিক দূরত্ব দেখতে পেলে ড্রাইভও করতে পারবেন।

তবে আক্রান্তের লক্ষণ দেখা দিলে ১২ দিন ঘরেই থাকতে বলা হয়েছে।  বরিস জনসন নিশ্চিত করেন, এ সবগুলো নির্দেশনার আগেই একটি বড় ‘যদি’ আছে। আমরা বিজ্ঞান, তথ্য ও জনস্বাস্থ্যের ভিত্তিতে চলবো। এসব নির্দেশনা তৈরিতে ভাইরাসটি নতুন করে জন্ম নেওয়ার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। আর সেটা নির্ভর করছে আমাদেরই উপর। আমরা কতটা পরামর্শ মানছি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি এবং ভাইরাস তৈরির হার নিচের দিকে রাখছি।

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩২ হাজার মানুষ। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। পরে বিশ্বব্যাপী তা মহামারী রূপ ধারণ করেন। বর্তমানে সারাবিশ্বে ৪১ লাখেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩ লাখ।